sos जाँधनी । দিগকে পরিবর্তন এবং উন্নতির দিকে প্রবর্তিত করিবার কোমরূপ উত্তেজনা থাকে না। সঙ্কীর্ণ সীমার মধ্যে সঙ্কীর্ণ মনোবৃত্তি লইয়। তাহারা নিশ্চিন্তে কালযাপন করিতে থাকে। জটিল এবং বিচিত্র অবস্থাপন্ন মানবদের অপেক্ষা ইহাদের সুখ সন্তোষ অনেকটা সম্পূর্ণ এবং অবিমিশ্র তাহাতে আর সনোহ নাই। ছোট পাত্র বড় পাত্র অপেক্ষা ঢের কম জলে ঢের বেশি পরিপূর্ণতা লাভ করিতে পারে । তবে ত সেই ছোট পাত্র হওয়াই সুবিধা । জীবনের কেবল কতকগুলি একান্ত আবশ্যক পূরণ করিয়া হৃদয়ের কেবল কতকগুলি আদিম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করিয়া নিৰ্ব্বিকার শান্তি লাভ করাই ত ভাল। ফুজি দ্বীপবাসীরা ত বেশ আছে,-দক্ষিণ আমেরিকার আদিম নিবাসীরা কদলীবনের মধ্যে ত চিরকাল সমভাবেই কাটাইয়াছিল, সভ্যতার নব নব অশান্তি এবং বিপ্লবের কোন ধার তাহার। ধারে না । কিন্তু সে আক্ষেপ এখন করা বৃথা । সভ্য জাতিদের পক্ষে এরূপ জীবনযাত্রা নিতান্ত অসহ্য । তাহার কারণ, সভ্যতাবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে একটি নুতন মনোবৃত্তির উদ্ভব হইয়াছে, তাহার নাম কাজ করিবার ইচ্ছ, উন্নতির ইচ্ছা । এক কথায়, তাহাকে অসন্তোষ বলা যাইতে পারে। এ মনোবৃত্তি সকল জাতির সকল অবস্থায় থাকে না । প্রথম প্রথম বাহিরের তাড়ায় মানুষ দায়ে পড়িয়া উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে থাকে। ক্রমে, কাজ করিতে করিতে অস্তরের মধ্যে কৰ্ম্মানুরাগ নামক একটা স্বতন্ত্র শক্তির সঞ্চার হয় ; তখন বাহিরের উত্তেজনার অভাব সত্ত্বেঃ সে ভিতর হইতে আমাদিগকে অহৰ্নিশি কাজে প্রবৃত্ত করাইতে থাকে। তথন