বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামরিক সারসংগ্ৰহ। אני মানুষ বাহিরের শাসন হইতে অনেকটা মুক্তি লাভ করে ; বাহ্য অভাব মোচন হইলেও অস্তরের সেই নবজাগ্রত শক্তি বিশ্রাম করিতে চাহে না, তখন নব নব উন্নত অfদশের সৃষ্টি ছইতে থাকে ; তখন হইতে আমাদের পক্ষে সিজীব নিম্পনাভাবে থাকা অসাধ্য হইয় উঠে, এবং তাহাতে আমরা যথার্থ সুখও পাই না । জাতীয় আত্মরক্ষার পক্ষে এই প্রবৃত্তির একটা উপযোগিতা আছে, তাহ বিচার করিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য। প্রকৃতিতে সম্পূর্ণ স্থায়িত্ব কোথাও নাই । তোমার অব্যবহিত চতুস্পাশ্বে যদি বা পরিবর্তন তেমন খরস্রোতে প্রবাহিত না হয় তথাপি অনতিদূরে কোন না কোন জাতির মধ্যে পরিবর্তন ঘটিতেছেই, সুতরাং কোন না কোন সময়ে তাহদের সহিত জীবিকাযুদ্ধের সংঘর্ষ অনিবাৰ্য্য। সে সময়ে, যাহারা বহুকাল স্থিরভাবে সস্তুষ্টচিত্তে আছে তাহীদের পক্ষে নুতন আপৎপাতের বিরুদ্ধে নুতন পরিবৰ্ত্তন সহজসাধ্য হয় না ; যাহার কৰ্ম্মানুরাগী উদ্যোগী জাতি তাহারাই পরিবর্তনে অভ্যস্ত এবং সকল সময়েই প্রস্তুত, সুতরাং এই চঞ্চল সংসারে টিকিবার সম্ভাবনা তাহীদেরই সব চেয়ে বেশি। কেবল জাতি নহে ব্যক্তিবিশেষের পক্ষেও সঙ্কীর্ণ সীমার মধ্যে আপনাকে সম্পূর্ণ নিহিত করিয়া সুখী হওয়ার অনেক বিপদ অাছে। দৃষ্টান্তস্বরূপে দেখা যায়, ঘরের অtছরে ছেলে হুইয়া চিরকাল খোকা হইয়া থাকার অনেক সুবিধা থাকিতে পারে ; কিন্তু চিরদিন স্বরের মধ্যে কাটাইয়া চলে না, এক সমন্ধে কঠিন সংসারের সংশ্রবে আসিতে হয় তখন নিতান্ত নিঃসহায় হুইয়া পড়িতে হয়। সঙ্কীর্ণ সম্পূর্ণতা লাভ অপেক্ষ বৃহৎ বিকাশের सेमाध डांश ।