পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

慧篇*》 সাধন । প্রার্থী নই, বৰ্ত্তমান বঙ্গাঙ্গমাদের মধ্যে কেউ যদি একবার "জাহাঙ্গ বলেন । - ১ সেপ্টেম্বর। সন্ধ্যার পর আহারাস্তে উপরের ডেকে অামাদের যথাস্থানে আশ্রয় গ্রহণ করা গেল । মৃদু শীতল বায়ুতে আমার বন্ধু ঘুমিয়ে পড়েচেন এবং দাদা অলসভাবে ধূমসেবন করচেন, এমন সময়ে নীচের ডেকে নাচের বাজনা বেজে উঠল । সকলে মিলে জুড়ি জুড়ি ঘূর্ণনৃত্য আরম্ভ হল। তখন পূৰ্ব্বদিকে নব কৃষ্ণপক্ষের পুর্ণপ্রায় চন্দ্র ধীরে ধীরে উদয় হচ্চে। এই তীররেখাশূন্য জলময় মহামরুর পূৰ্ব্বসীমান্তে চন্দ্রের পাণ্ডুর কিরণ পড়ে একটা অনাদি অনন্ত বিষাদে পরিপূর্ণ ছয়ে উঠেছে। চাদের উদয়পথের ঠিক নীচে থেকে আমাদের জাহাজ পৰ্য্যন্ত অন্ধকার সমুদ্রের মধ্যে প্রশস্ত দীর্ঘ আলোকপথ ঝিকঝিক করচে। জ্যোৎস্নাময়ী সন্ধ্যা কোন এক অলৌকিক বৃন্তের উপরে অপূৰ্ব্ব শুভ্র রজনীগন্ধার মত আপন প্রশান্ত সোঁদৰ্য্যে নিঃশৰে চতুর্দিকে প্রস্ফুটিত হয়ে উঠচে। আর মানুষগুলো পরস্পরকে জড়াজড়ি করে’ ধরে পাগলের মত তীব্র আমোদে ঘুরপাক্ খাচ্চে, ছাপাচ্চে, উত্তপ্ত হয়ে উঠচে, সৰ্ব্বাঙ্গের রক্ত উচ্ছসিত হয়ে মাথার মধ্যে ঘুরচে, বিশ্বজগৎ আদি স্বষ্টিকালের বাষ্পচক্রের মত চারিদিকে প্রবল বেগে আবর্তিত হচে । আশ্চর্য্য কাও ! লোক-লোকাস্তুরের নক্ষত্র স্থিরভাবে চেয়ে রয়েচে এবং দূরদূরান্তরের তরঙ্গ স্নান চন্দ্রালোকে গম্ভীক সমস্বরে অনন্তকালের পুরাতন সামগাথা গান করচে। এই রজনীতে, এই আকাশের নীচে এবং এই সমুদ্রের উপরে কতকগুলি পরিচিত অপরিচিত নরনারী জুড়িজুড়ি জড়াজড়ি করে লাঠিমের মত অর্থহীন অন্ধবেগে ঘুর খাওয়াকে খুব একটা মুখ মনে করচে । একটু লজ্জা