বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*登む。 সাধন । তোমার এ সব কথা আমার সহ্য হয় না—যাও তোমার সঙ্গে আমি আর তর্ক করতে চাইনে ৷” এই বলিয়। তাড়াতাড়ি -গাড়ী হইতে নামিয়া পড়িলেন। গাড়ী চলিতেছে, রিচার্ডসন আপনাকে জয়ী ভারিয়ু সানন্দে চীৎকার করিতে লাগিলেন “কেমন হেরে গেলে, কেমন হেরে গেলে ।” কিয়ৎক্ষণ পরে রিচার্ডসনের উষ্ণ মস্তিষ্ক যখন একটু শীতল হইয়া আসিল এবং শেরিডানের চারি ঘণ্টার ভাড়া শুদ্ধ তাহাকে দিতে হইল, তখন কে কাহাকে হারাইয়াছে তিনি বেশ অনুভব করিতে পারিলেন । পার্থশায়ারের একজন দরিদ্র কৃষকপত্নী তাহীর স্বামী ও তাহার একটি গরুর এক সময়ে অসুখ হওয়াতে ডাক্তারের নিকট হইতে দুইটি ঔষধের ব্যবস্থাপত্ৰ লইয়া কোন এক ঔষধালয়ে গমন করে। ঔষধদাতা দেখিল যে, তাহার নিকটে যে টাকা আছে তাহাতে সে কেবল একটি মাত্র ঔষধ কিনিতে পারে। এই কথা কৃষকপত্নীকে জানাইয়া জিজ্ঞাসা করিল, *এখন তুমি তোমার স্বামীর জন্য ঔষধ চাও না তোমার গরুর জন্ত ?” কৃষকপত্নী উত্তর করিল “আমি আমার গরুর জন্ত ঔষধ চাই, কারণ, স্বামী মরিলে শীঘ্রই আর একটা স্বামী পাইব কিন্তু গরু মরিলে আর একটা গরু শীঘ্ৰ মিলিবে না।” পিতামাতাকে হত্যা করার অপরাধে কোন লোকের প্রাণুদণ্ডের আজ্ঞা হয়। দণ্ডের অনতিপূৰ্ব্বে তাহার যাহা বক্তব্য আছে তাহ বলিবার অনুমতি পাইলে সে বলিল “আমার পিতামাত কেহ নাই, আমি অনাথ ; আমার বিষয়ে আপনার একটু দয়া করিয়া ভাবিয়া দেখিবেন ।” :