বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংগ্রহ। 8४१* এক বৃদ্ধের একটি ভূত্যের আবশ্যক হয়। অনেক অমুসন্ধানের পর কোথাও ভৃত্য ন পাইয়া তাহার ভ্রাতুষ্প ত্রের একটি ভৃত্য ছিল তাহাকেই কৰ্ম্মে নিযুক্ত করিলেন। যে দিন নুতন ভূতাটি বৃদ্ধের নিকটে আসিল সে দিন তিনি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, অমুক্রম সম্বন্ধে তাহার কোন জ্ঞান আছে কি না। ভৃত্যটি এই মস্ত কথা শুনিয়া একটু ভীত হইয়া বলিল *মশায়, অনুক্রম জিনিষটা কি বুঝাইয়া দিলে, তার পর যা হয়। একট। উত্তর দিতে পারি।” বৃদ্ধ বলিলেন ‘ অনুক্রম জিনিষট। বিশেষ কিছু নয়। এই মনে কর তোমাকে যদি টেবিলে চাদর পাততে বলি তাহলে আমুক্রমিক কাটা ছুরি চামচ প্লেট সব ঠিক ক’রে রাখতে হবে।” ভূত্য বলিল “এই বই ত নয়—এ আমি বেশ পারব ।’’ এক দিন বুদ্ধের অসুখ করিয়াছে । প্রাতঃকালে ভৃত্যকে যথাসত্বর একজন সেবিকাকে ডাকিয়া মানিতে বলিলেন । সমস্ত দিন ভৃত্যের মোর দেখা নাই । রাত্রি যখন অৰ্দ্ধেক তখন লে। বাড়ী ফিরিল । বৃদ্ধের নিকটে অসিলে পর বৃদ্ধ অকথ্য উচ্চারণে তাছাকে ভংসন করিলেন। ভূত্য চুপ করিয়া সব শুনিল, পরে যখন বুদ্ধের রাগ পড়িয়া গেল তখন সে বলিতে আরম্ভ করিল। “অনেক কষ্টে একজন সেবিক যোগাড় করিয়াছি; যে নীচে, আছে। এবং আমুক্রমিক একজন ডাক্তার, একজন অস্ত্রচিকিৎসক ও } একজন মুদফরাসকেও ডাকিয়া আনিয়াছি। তাহারা ব্যগ্র হইয়। আপনার জন্য প্রতীক্ষা করিতেছে। ভূত্যের বুদ্ধির বেগ দেখিয়। বৃদ্ধ একজন উকিল ডাকিয়া দানপত্রে তাহার নামে প্রভূত সম্পত্তি লিখিয়া দিলেন ।