পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ** সাধন । হইত। তেমনি অটল ধৰ্ম্মনীতির বন্ধন না থাকিলে সমাজ বিচ্ছিন্ন হুইয়া সমাজ-আকার ত্যাগ করে, এবং চঞ্চল লোকনীতি না থাকিলে সমাজ জড় পাষাণবৎ সংহত হইয়া যায় । আধুনিক ছিন্দুসমাজে খাওয়া শোওয়া কোন বিষয়েই যুক্তির স্বাধীনতা নাই, সমস্তই এক অটল ধৰ্ম্মনিয়মে বদ্ধ এ কথা যদি সত্য হয় তবে ইছ আমাদের গৌরবের, অামাদের কল্যাণের বিষয় নহে । চন্দ্রনাথ বাবুও অন্যত্র এ কথা একরূপ স্বীকার করিয়াছেন । তিনি বলেন “হিন্দুশাস্ত্রের নিষিদ্ধ দ্রব্যের মধ্যে কোনটি ভক্ষণ করিয়া যদি মানসিক প্রকৃতির অনিষ্ট না হয় তবে সে দ্রবাটি ভক্ষণ করিলে তোমার হিন্দুয়ানীও নষ্ট হইবে না তোমার হিন্দুনামেও কলঙ্ক পড়িবে না।” অর্থাৎ এ সকল বিষয় ধ্রুব ধৰ্ম্মনিয়মের অন্তর্গত নহে । ইহার কৰ্ত্তব্যতা প্রমাণ ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে । কিন্তু এই একটিমাত্র কথায় চন্দ্রনাথ বাবু বৰ্ত্তমান হিন্দুসমাজের মূলে আঘাত করিতেছেন। আমি যদি বলি গোমাংস খাইলে আমার মানসিক প্রকৃতির অনিষ্ট হয় না ; আমি যদি প্রমাণস্বরূপে দেখাই গোমাংস ভুকু যাজ্ঞ বন্ধ্য অনেক কুষ্মাণ্ডভুকু স্মাৰ্ত্তবাগীশের অপেক্ষ৷ উচ্চতর মানসিক প্রকৃতিসম্পন্ন ; তবে কি হিন্দুসমাজ আমাকে মাপ করিবেন ? যদি কোন ব্রাহ্মণ শ্রদ্ধাস্পদ চন্দ্রনাথ বাবুর সহিত একাসনে বসিয়া আহার করেন এবং প্রমাণ করেন তা হাতে র্তাহার আধ্যাত্মিক প্রকৃতির কিছুমাত্র বিকার জন্মে নাই, তবে কি তাহার হিন্দুনামে কলঙ্ক পড়িবে না ? যদি না পড়ে, এই যদি হিন্দুধৰ্ম্ম হয়, হিন্দুধৰ্ম্মে যদি মুল ধৰ্ম্মনীতিকে রক্ষা করিয়া আচার সম্বন্ধে স্বাধীনতা দেওয়৷ থাকে তবে এতক্ষণ আমরা বৃথা তর্ক করিতেছিলাম ।