পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাময়িক সূঃহিত্য সমালোচনা । । ৪৬১ জানে না ? আহারের সময় পূৰ্ব্বমুখ করিয়া উপবেশন করিলে তাহাতে পরিপাকের সহায়তা ও তৎসঙ্গে মানসিক প্রসন্নতার বৃদ্ধি সাধন করে অতএব পূৰ্ব্বমুখে আহার করা ধৰ্ম্মবিহিত এ কথা বলিলে প্রমাণ লইয়া তর্ক উঠিতে পারে কিন্তু মূল কথাটা সম্বন্ধে কাহারে কোন আপত্তি থাকিতে পারে না । কিন্তু যদি বলা হয় পূৰ্ব্বমুখে আহার না করিলে অপবিত্র হইয়া ত্রিকোটিকুলসমেত নরকে পতিত হইতে হইবে, ইহা ধৰ্ম্ম, অতএব ইহা পালন করিবে, তবে এ কথা লইয়া গৌরব করিতে পারি না। যাহার সত্য মিথ্যা প্রমাণের উপর নির্ভর করে, যে সকল বিষয় সম্বন্ধে জ্ঞানোন্নতি সহকারে মতের পরিবর্তন কিছুই অসম্ভব নহে তাহাকে কি বলিয়া ধৰ্ম্মনিয়মভুক্ত করা যায় ? স্বাস্থ্য রক্ষা কর। মানুষের কৰ্ত্তব্য অতএব তাহ ধৰ্ম্ম এ মূলনীতির কোন কালে পরিবর্তন সম্ভব নহে, কিন্তু কোন একটা বিশেষ উপায়ে বিশেষ দ্রব্য আহার করা ধৰ্ম্ম, না করা অধৰ্ম্ম এরূপ বিশ্বাসে গুরুতর অনিষ্টের কারণ ঘটে । মানব নীতির দুই অংশ আছে, এক অংশ স্বতঃসিদ্ধ, এক অংশ যুক্তিসিদ্ধ । * আধুনিক সভ্য জাতিরা এই দুই অংশকে পৃথক্ করিয়া লইয়াছেন ; এক অংশকে ধৰ্ম্মনৈতিক ও অপর ংশকে সামাজিক এবং রাজনৈতিক শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়াছেন। একদিকে এই ধ্রুব শক্তি এবং অপর দিকে চঞ্চল শক্তির স্বাতন্ত্র্যই সমাজ-জীবনের মূল নিয়ম। সকলেই জানেন, আকর্ষণ শক্তি না থাকিলে জগৎ বাষ্প হইয়া অনস্তে মিশাইয়া ষাইত এবং বিপ্রকর্ষণ শক্তি না থাকিলেও বিশ্বজগৎ বিন্দুমাত্রে পরিণত

  • এখানে আমরা তত্ববিদ্যার তর্কে নামিতে চাহি না । বল! আবশ্যক, স্বতঃসিদ্ধ কিছু আছে বলিয়। অনেকে বিশ্বাস করেন না।