বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি প্রশ্ন । * ૧૦૯ প্রত্যেকে স্ব স্ব প্রধান হইতে চেষ্টা করে, এবং সকলেই আপনার প্রভাব সম্পূর্ণ বিস্তার করিতে গিয়া মোটের উপর একটা সামঞ্জস্য থাকিয়া যায় কি না । ইহাতেই সমাজের জীবন যৌবন এবং বল রক্ষা হয় কি না ? সুবিচক্ষণ যুক্তির একাধিপত্য কি সামাজিক জরার লক্ষণ নহে ? অতএব দ্বিজেন্দ্র বাবু সামাজিক রোগের যে কবিরাজী চিকিৎসা ব্যবস্থা করিয়াছেন, তাহাতে ব্যাধির অপেক্ষ বটিক কি সাংঘাতিক হইয়া উঠিতে পারে না ? এবং একটি বৃহৎ জনসমাজ কখন কি সেরূপ চিকিৎসাধীনে আসিতে পারে ? আমরা পুরাণ পাঠ করিয়া প্রাচীন আৰ্য্যদেরই অনুকরণ করি আর ইংরাজি পড়িয়া ইংরাজদেরই অনুসরণ করিতে চেষ্টা করি, আমাদের মনের ইচ্ছ, আমাদের আদর্শের গুণগুলিই আমরা প্রাপ্ত হই। এমন জড় প্রকৃতি পৃথিবীতে অতি অল্পই আছে, এ কথা যাহার বিবেচনায় উদয় হয় না যে, অনুকরণীয়ের ভালটা গ্রহণ করাই ভাল ;–এ সম্বন্ধে উপদেশ নিতান্তই বাহুল্য } কিন্তু প্রাণপণ চেষ্টায় ব্যাস বশিষ্ঠ গৌতম সাজিতে গিয়া এক একটি ফোটাকাটা টিকি পরা বাঙ্গালী তর্কবাগীশের উদ্ভব হয়, এবং ইংরাজি বীর্য্য বল বুদ্ধির ধ্যান করিয়া কেবল কতকগুলি কালে কুৰ্ত্তিপরা কৃশকায় ক্ষুদ্র দাম্ভিক অঙ্কুরিত হইয় উঠে । কিন্তু শিব গড়িতে গিয়া সকল সময়ে যে শিব গড়া হয় না, সেটা কি কেবলমাত্র বিবেচনাশক্তি ও উপদেশের অভাবে ? সে কি ক্ষমতার অভাবেই নহে? প্রাচীন আৰ্য্য অথবা আধুনিক ইংরাজ হওয়া কি বাঙ্গালীর কৰ্ম্ম ? বাঙ্গালীর মধ্যে উভয়ের গুণের সংমিশ্রণ কি আরো অসম্ভব নহে? কারণ, মানুষের অমুকরণ করা অপেক্ষাকৃত সহজ, কিন্তু মানুষ হইতে পৃথক করিয়া