পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্যাগ । 粉*@ কুসুম শুম্ভ হইতে মুখ ফিরাইয়া লইয়া স্বামীর মুখের দিকে রাখিয়া কহিল—“এই জ্যোৎস্ন। রাত্রি এই বসস্তকাল সমস্ত এই মুহূর্তে মিথ্যা হইয়া ভাঙ্গিয়া যাইতে পারে এমন একটা মন্ত্র আমি জানি ।” হেমন্ত বলিল “যদি জান ত সেটা উচ্চারণ করিয়া কাজ নাই । বরং এমন যদি কোন মন্ত্র জানা থাকে যাহাতে সপ্তাহের মধ্যে তিনটে চারটে রবিবার আসে কিম্বা রাfত্রটা বিকাল পাচটা সাড়ে পাচট। পর্য্যস্ত টিকিয়া যায়, ত তাহ শুনিতে রাজি আছি ।” বলিয়। কুসুমকে আর একটু টানিয়া লইতে চেষ্টা করিল। কুসুম সে আলিঙ্গনপাশে ধরা না দিয়া কহিল—“আমার মৃত্যুকালে তোমাকে যে কথাটা বলিব মনে করিয়াছিলাম আজ তাহা বলিতে ইচ্ছা করিতেছে । আজ মনে হইতেছে তুমি আমাকে যত শাস্তি দা ও না কেন আমি বহন করিতে পারিব।” শাস্তি সম্বন্ধে জয়দেব হইতে শ্লোক আওড়াইয়া হেমন্ত একটt রসিকতা করিবার উদ্যোগ করিতেছিল। এমন সময়ে শোনা গেল একটা ক্রুদ্ধ চটি জুতার চটচটু শব্দ নিকটবর্তী হইতেছে। হেমন্তের পিত। হরিহর মুখুয্যের পরিচিত পদশব্দ। হেমন্তু শশব্যস্ত হইয়া উঠিল। হরিহর দ্বারের নিকটে দাড়াইয়া ক্রুদ্ধ গর্জনে কহিল “হেমন্ত, বেীকে এখনি বাড়ি হইতে দূর করিয়া দাও।” হেমন্ত স্ত্রীর মুখের দিকে চাহিল, স্ত্রী কিছুই বিস্ময় প্রকাশ করিল না, কেবল দুই হাতের মধ্যে কাতরে মুখ লুকাইয়া আপনার সমস্ত বল এবং ইচ্ছা দিয়া আপনাকে যেন লুপ্ত করিয়া দিতে চেষ্টা করিল। দক্ষিণে বাতাসে পাপিয়ার স্বর ঘরে প্রবেশ করিতে লাগিল, কাহারে কানে গেল না। পৃথিবী এমন অসীম সুন্দর অথচ এত সহজেই সমস্ত বিকল হইয়া যায়।