বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

וזיtזס" মহাশয়ের বাড়িতে কুহুম নামে একটি শৈশব-বিধবা অনাথ৷ কায়স্থ কন্যা আশ্রিতভাবে থাকিত । মেয়েটি বড় সুন্দরী-বুড়ে৷ ব্রাহ্মণ কলেজের ছেলেদের দৃষ্টিপথ হইতে তাহাকে সম্বরণ করিয়া রাখিবার জন্য কিছু ছশ্চিন্তাগ্রস্ত হইয়া পড়িয়াছিল। কিন্তু বুড়ে মানুষকে ফাকি দেওয়া একটি মেয়ের পক্ষে কিছুই শক্ত নহে । মেয়েটি প্রায়ই কাপড় শুকাইতে দিতে ছাতে উঠিত এবং তোমারও বোধ করি ছাতে না উঠিলে পড়া মুখস্থ হইত না । পরস্পরের ছাত হইতে তোমাদের কোনরূপ কথাবাৰ্ত্ত হইত কি না সে তোমরাই জান,কিন্তু মেয়েটির ভাবগতিক দেখিয়া বুড়ার মনেও সন্দেহ হইল। কারণ, কাজ কৰ্ম্মে তাহার ক্রমিক ভুল হইতে দেখা গেল এবং তপস্বিনী গেীরীর মত দিন দিন সে অtহার নিদ্র ত্যাগ করিতে লাগিল । এক এক দিন সন্ধ্যাবেলায় সে বুড়ার সম্মুথেই অকারণে অশ্রু সম্বরণ করিতে পারিত না । অবশেষে বুড়া আবিষ্কার করিল ছাতে তোমাদের মধ্যে সময়ে অসময়ে নীরব দেখা সাক্ষাৎ চলিয়। থাকে-এমন কি কালেজ কামাই করিয়া ও মধ্যাহ্লে চিলের ঘরের ছায়ায় ছাতের কোণে তুমি বই হাতে করিয়া বসিয়া থাকিতে নির্জন অধ্যয়নে সহসা তোমার এত উৎসাহ জন্মিয়াছিল । বিপ্রদাস যখন আমার কাছে পরামর্শ জানিতে আসিল আমি কহিলাম, খুড়ো, তুমি ত অনেক দিন হইতে কাশি-যাইবার মানস করিয়াছ, মেয়েটিকে আমার কাছে রাখিয়া তীর্থবাস করিতে যাও আমি তাহার ভার লইতেছি । লিপ্রদাস তীর্থে গেল। আমি মেয়েটিকে ত্রিপতি চাটুয্যের বাসায় রাখিয়া তাহাকেই মেয়ের বাপ বলিয়া চালাইলাম। তাহার পর যাহা হইল তোমার জানা আছে। তোমার কাছে আগাগোড়া সব কথা খোলসা করিয়া বলিয়া বড় আনন্দ লাভ করিলাম। এ যেন একটি গল্পের মত । ইচ্ছা আছে ক