বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

総b ● माँश्वनt t সমস্তটি লিখিয়া একটি বই করিয়া ছাপাই । আমার লেখা আসে না। অামার ভাইপোটা শুনিতেছি একটু আধটু লেখে—তাহাকে দিয়া লেখাইবার মানস আছে । কিন্তু তোমাতে তাহাতে মিলিয়া লিখিলে সব চেয়ে ভাল হয়, কারণ, গল্পের উপসংহারটি অামার ভাল জানা নাই ।” হেমস্ত প্যারিশঙ্করের এই শেষ কথাগুলিতে বড় একটা কান না দিয়া কহিল “কুসুম এই বিবাহে কোন আপত্তি করে নাই ?” প্যারিশঙ্কর কহিল “আপত্তি ছিল কি না বোঝা ভারি শক্ত । জাল ত, বাপু, মেয়েমানুষের মন ; যখন “না” বলে তখন “হঁ।” বুঝিতে হয়। প্রথমে ত দিনকতক নুতন বাড়িতে আসিয়া তোমাকে না দেখিতে পাইয়া কেমন পাগলের মত হইয়া গেল। তুমিও দেখিলাম কোথা হইতে সন্ধান পাইয়াছ ; প্রায়ই বই হাতে করিয়া কলেজে যাত্রা করিয়া ভোমার পথ ভুল হইত—এবং শ্ৰীপতির বাসার সম্মুখে আসিয়া কি যেন খুজিয়া বেড়াইতে ; ঠিক যে প্রেসিডেন্সি কলেজের রাস্ত। খুজিতে তাহ বোধ হইত না, কারণ ভদ্রলোকের বাড়ির জানলার ভিতর দিয়া কেবল পতঙ্গ এবং উন্মাদ যুবকদের হৃদয়ের পথ ছিল মাত্র। দেখিয়া শুনিয়া অামার বড় দুঃখ হইল। দেখিলাম, তোমার পড়ার বড়ই ব্যাঘাত হইতেছে এবং মেয়েটির অবস্থাও সঙ্কটাপন্ন। একদিন কুসুমকে ডাকিয়া লইয়া কছিলাম-— বাছা, আমি বুড়ামানুষ, অামার কাছে লজ্জা করিবার আবশ্যক নাই—তুমি যাহাকে মনে মনে প্রার্থনা কর আমি জানি । ছেলেটিও মাটি হইবার যে হইয়াছে । আমার ইচ্ছ। তোমাদের মিলন হয়। শুনি বামাত্র কুসুম একেবারে বুক ফাটিয়া কাদিয়৷ উঠিল এবং ছুটিয়া পালাইয়া গেল। এমনি করিয়া প্রায় মাঝে