বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&** जांधनां । হইবে । তাহার বহুদিনের আশা কাল পূর্ণ হুইবে বলিয়। সে স্বর্গে চড়িয়া বসিয়াছে, আজ আমি হঠাৎ তাহাকে তোমার মৃত্যুসংবাদ পাঠাইব ! আবার তাহার পরদিন তোমাকে তাহার মৃত্যুসংবাদ পাঠাইতে হইবে, এবং সেই দিন সন্ধ্যাবেলায় আমার কাছে তোমার মৃত্যুসংবাদ আসিবে। আমি কি এই বুড়া বয়সে স্ত্রীহত্য ব্ৰহ্মহত্যা করিতে বসিয়াছি ! তাহার পর শুভলগ্নে শুভবিবাহ সম্পন্ন হইল—আমি আমার একটা কৰ্ত্তব্যদায় হইতে অব্যাহতি পাইয়া বঁচিলাম । তাহার পর কি হইল তুমি জান ।” হেমন্ত কহিলেন “আমাদের যাহা করিবার তাহা ত করিলেন আবার কথাটা প্রকাশ করিলেন কেন ?” প্যারিশঙ্কর কহিলেন “দেখিলাম তোমার ছোট ভগ্নীর বিবাহের সমস্ত স্থির হইয়া গেছে । তখন মনে মনে ভাবিলাম, একটা ব্রাহ্মণের জাত মারিয়াছি কিন্তু সে কেবল কৰ্ত্তব্যবোধে । আবার অার একটা ব্রাহ্মণের জাত মারা পড়ে, আমার কৰ্ত্তব্য এটা নিবারণ করা । তাই তাহাদের চিঠি লিখিয়া দিলাম। বলিলাম, হেমন্ত যে শূদ্রের কন্যা বিবাহ করিয়াছে তাহার প্রমাণ অাছে।” হেমন্ত বহুকষ্টে ধৈর্য্য সম্বরণ করিয়া কহিল—”এই যে মেয়েটিকে আমি পরিত্যাগ করিব, ইহার দশা কি হইবে ? আপনি ইহাকে আশ্রয় দিবেন ?” প্যারিশস্কর কহিলেন “আমার যাহা কাজ তাহা অামি করিয়াছি, এখন পরের পরিত্যক্ত স্ত্রীকে পোষণ করা আমার কৰ্ম্ম নহে। ওরে, হেমস্ত বাবুর জন্য বরফ দিয়া এক গ্লাস ডাবের জল লইয়। মায়, আর পান আনিসু!” -