বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ত্যাগ। ^ 3ty মাঝে সন্ধ্যাবেলায় শ্ৰীপতির বাড়ি গিয়া কুসুমকে ডাকিয়া তোমার কথা পাড়িয়া ক্রমে তাহার লজ্জা ভাঙ্গিলাম। অবশেষে প্রতিদিন ক্রমিক আলোচনা করিয়া তাহাকে বুঝাইলাম যে, বিবাহ ব্যতীত পথ দেখি না । তাহা ছাড়া মিলনের আর কোন উপায় নাই। কুসুম কহিল কেমন করিয়া হইবে ? আমি কহিলাম, তোমাকে কুলীনের মেয়ে বলিয়। চালাইয়া দিব । অনেক তর্কের পর সে এ বিষয়ে তোমার মত জানিতে কহিল । আমি কহিলাম, ছেলেটা একে ক্ষেপিয়া যাইবার যে হইয়াছে, তাহাকে আবার এ সকল গোলমালের কথা বলি বার আবশ্যক কি ? কাজটা বেশ নিরাপত্তে নিশ্চিন্তে নিষ্পন্ন হইয় গেলেই সকল দিকে সুখের হইবে । বিশেষতঃ এ কথা যখন কখনও প্রকাশ হইবার কোন সম্ভাবনা নাই তখন বেচারীকে কেন গায়ে পড়িয়া চিরজীবনের মত অমুখী করা !—কুসুম বুঝিল, কি বুঝিল না আমি বুঝিতে পারিলাম না। কখন কঁদে কখন চুপ করিয়া থাকে। অবশেষে আমি যখন বলি, তবে কাজ নাই, তখন আবার সে অস্থির হইয় উঠে । এইরূপ অবস্থায় শ্ৰীপতিকে দিয়া তোমাকে বিবাহের প্রস্তাব পাঠাই । দেখিলাম সম্মতি দিতে তোমার তিলমাত্র বিলম্ব হইল না। তখন বিবাহের সমস্ত ঠিক হইল। বিবাহের অনতিপূৰ্ব্বে কুসুম এমনি বাকিয় দাড়াইল তাহাকে আর কিছুতেই বাগাইতে পারি না । সে আমার হাতে পায়ে ধরে, বলে ইহাতে কাজ নাই জ্যাঠামশায় । আমি বলিলাম, কি সৰ্ব্বনাশ, সমস্ত স্থির হইয় গেছে, এখন কি বলিয়া ফিরাইব !—কুসুম বলে তুমি রাষ্ট্র করিয়া দাও আমার হঠাৎ মৃত্যু হইয়াছে, আমাকে এখান হইতে কোথাও পাঠাইয়া দাও !—আমি বলিলাম তাহা হইলে ছেলেটির দশা কি