বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 ३ সাধ না । লোকের যত দিন জ্ঞানচক্ষু ন ফোটে ততদিন এপক্ষের ও ভাল মন্দ বিচার করিতে পারে না, ও পক্ষের ও ভালমন্দ বিচার করিতে পারে না । এপক্ষের সংস্কার এই যে, স্বৰ্য্য পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘুরিতেছে ; বিদ্যালয়ের জ্ঞান-শিক্ষার সময় এ সংস্কারকে দূরে সরাইয়া রাখিতে হইবে ; তাহার পরে বিদ্যা-শিক্ষা অার এক ধাপ অগ্রসর হইলে মার্শ মান সাহেবের ভারতবর্ষীয় ইতিহাসের অনেকগুলি ও-পক্ষীয় ভ্রম মন হইতে দূরে নিক্ষেপ করিতে হইবে । অনু ভয়-পক্ষে ভর করিয়া জ্ঞান-চর্চা না করিলে কখনই জ্ঞান পরিপক্কতা লাভ করিতে পারে না ; আর, উভয়পক্ষ হইতে ভাল আকর্ষণ এবং মন পরিবর্জন করিতে না পারিলে কাজের সুশৃঙ্খলা হইতে পারে না। এমন কি —কাজের অনুরোধে ঘোর এপক্ষীয় ব্যক্তিরা ও ওপক্ষীয় প্রণালী-অতুসারে সভাদি সংস্থাপন এবং প্রচালন করিতে বাধ্য হ’ন । আমার চিকিৎসা-প্রণালী আর কিছু না—আহ্ল ভয়-পক্ষ অবলম্বন করিয়। জ্ঞানচর্চা করিবে এবং উভয় পক্ষের মধ্যস্থলে অবতীর্ণ হইয়া দুয়ের ভাল যাহা তাহা গ্রহণ করিবে মদ যাহা তাহা পরিত্যাগ করবে। ইহার একটু টীকা করা আবশ্যক ; “অনুভয় পক্ষ অবলম্বন করিয়া’ অর্থাৎ পক্ষপাতশূন্য হইয়া । *উভয়-পক্ষের মধ্যস্থলে অবতীর্ণ হইয়া দুয়ের ভাল যাহা তাহ। গ্রহণ করিবে, মন্দ যাহ। তাহ পরিবর্জন করিবে” ইহার অর্থ এ নয় যে, এর ভাল গুণ ও’র ভাল গুণ জোড়াতাড়া দিয়া একটা অদ্ভুত সঙ গড়িয়া তুলিবে । কোনো পক্ষেরই আমি কৃত্রিম অনুকরণ করিতে বলি না । লোকের ক্ষুধা-মান্দ্য হইলে যতই সে অtহার করে, ততই তাহার শরীরে রোগ জড়ো হয়, মার, ক্ষুধার উদ্রেক হইলে ভুক্ত অন্নের সারা কর্ষণ এবং অসীর পরিবর্জন