পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রশ্নের উত্তর । ৪৯৩ করিতে কাহারে কাল-বিলম্ব হয় না । অনুভয়-পক্ষের উচ্চ মঞ্চে থাকিয়া যে ব্যক্তি জ্ঞান শিক্ষা করিয়াছে সে ব্যক্তি কথনে! এপক্ষ এবং ওপক্ষ দুইকে অত্যন্ত ভিন্ন করিয়া দেখে না ;– জঠরানল যেমন চাল আর ডালকে অত্যন্ত ভিন্ন করিয়া দেখে ন! ;--সেইরূপ । এ হইতে এর ভাগ জিনিস—ও-হইতে ও’র ভাল জিনিস লইয়া জোড়াত tড় দিয়া একটা জিনিস থাড়া করা নিতান্তই কৃত্রিম ব্যাপার ; এরূপ কার্য্য আমি কোনো অংশেই শ্রেয় বলি না ; তবে কি ? না—কিয়ংকাল উপবাসের পর জঠরানল যেমন ভুক্ত খিচুড়ির চাল হইতেও সারাকর্ষণ করে, ডাল হইতেও সারা কর্ষণ করে ;–স্বভাবতই করে ; তেমনি অতু ভয়-পক্ষের চিত্তসংযমের পর উদ্দীপ্ত জ্ঞানানল উভয় পক্ষ হইতেই সার আকর্ষণ করে—স্বভাবতই এরূপ করে – কৃত্রিমরূপে জোড়া তাড়া দিয়া কিছুই করে না । অনুভয়-পক্ষই জ্ঞান চর্চা এবং সংযমশিক্ষার উচ্চ মঞ্চ, আর, উভয়পক্ষের মধ্যস্থলই কাৰ্য্য শিক্ষার উৰ্ব্বরাক্ষেত্র। মধুকর, বিকশিত শতদলের এদল হইতে ওদলে, ও-দল হইতে এ-দলে, যুগযুগান্তর ঘুরিয়া বেড়াইলেও এক বিন্দুও মধু পাইতে পারে না ; কিন্তু সকল দলের সন্মিলন-স্থানে অবতীর্ণ হইলে সেইখানেই মধুর অন্বেষণ পাইতে পারে । প্রশ্নকৰ্ত্তার কথার ভাব এই যে, জোড়াতাড়া দিয়া একটা জিনিস খাড় করা নিতান্তই কৃত্রিম ব্যাপার-অামি ও তাঁহাই বলি ; অধিকন্তু আমি এই বলি যে, জোড়াতাড়া দিয়া নহে--জ্ঞানের স্বাভাবিক অভিব্যক্তিবলে উভয় পক্ষ হইতেই সারা কর্ষণ করা যাইতে পারে—ত। শুধু নয় (মুথে যিনি যাহা বলুন) বাস্তবিক তাহাই আমরা করিতেছি এবং সেই গতিকে অল্প অল্প করিয়া উন্নতিপথে অগ্রসর হইতেছি । কেবল, র্যাহার রোগাক্রান্ত,