বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

霸>8 সাধন । তাহারাই এক বার ও-পক্ষের চরণ- প্রান্তে গা ঢালিতেছেন, তাহার পরেই এ-পক্ষের চরণ-প্রাস্তে গড়াগড়ি দিতেছেন ; সোজাপথে চলা ইহাদের শাস্ত্রে লেখে না। প্রশ্ন কর্তা যদি বলেন, এরূপ রোগ জন-সমাজে অনিবাৰ্য্য ; তবে, তাহার জানা উচিত যে, আমিও তাহাই বলি ; কেবল, অধিকন্তু আর-একটি কথা এই বলি যে, জনসমাজে রোগের প্রাদুর্ভাব হইলেই তাহার প্রতিবিধান-চেষ্টা, অন্ততঃ তাহার সংক্রামকতা-নিবারণ চেষ্টা, তেমনিই একটি অনিবা র্য্য ব্যাপার । আমরাই যে কেবল এইরূপ করিয়া (অর্থাৎ নানা দিকের ভাল আত্মসাৎ এবং মন্দ পরিবর্জন করিয়া) উন্নতি লাভ করিতেছি তাহা নহে—সকল জাতিই এইরূপ করিয়া উন্নতি লাভ করিয়াছে । আমার চিকিৎসা-প্রবন্ধের মূল কথা এই যে, জন-সমাজের উন্নতি শুধু দেশের উপরেও নির্ভর করে না, শুধু কালের উপরেও নির্ভর করে না—কিন্তু দেশ এবং কাল দুয়ের সমবেত কাৰ্য্যকারিতীর উপর নির্ভর করে । কাল যদি বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগ না ঘটাইবে তবে কাল কিসের জন্য ? দেশ যদি বিভিন্ন সমাজকে শৈশবাবস্থায় আগুলিয়া না রাখিয়া পরিপোষণ না করিবে তবে দেশ কিসের জন্য ? কাল, বিভিন্ন দেশের এর ওর তার পরস্পরের সঙ্গে কিরূপে যোগাযোগ ঘটায় এবং সেই গতিকে এক এক দেশ কিরূপে উন্নতির কেন্দ্র-স্বরূপ হইয়া পৃথিবীর এক প্রান্ত হইতে আর এক প্রাস্ত পৰ্য্যন্ত নূতন জীবনের সঞ্চার করে, তাহার প্রমাণ অন্বেষণ করিবার জন্য দুরে যাইতে হইবে না—ইংরাজ জাতি তাহার একটি জজিল্যমান প্রমাণ । ইংরাজ জাতি ক্রুসেডের সময় হইতে কত দেশের কত ভাল আত্মসাৎ করিয়াছে—মন্দ হইতে ভাল লাছিয়া ভাল আত্মসাৎ করিয়াছে—কৃত্রিমরূপে জোড়াতাড়া