't str मांथनी লের লেখাতেই রচনার ভালমন্দর মধ্যেও একটা মৰ্ম্মগত মূল জিনিষ আছে, তারি উপর ঐ সকল কবিতার ধ্রুবত্ব ও মহত্ত্ব নির্ভর করে। সেই জিনিষটাই ঐ সকল কবিতার সত্য। সেটাকে যে আমরা সকল সময়ে কবিতা বিশ্লেষণ করে’ সমগ্র বের করতে পারি তা নয় কিন্তু তার শাসন আমরা বেশ অনুভব করতে পারি। গোটিয়ের সহিত ওয়ার্ডসওয়ার্থের তুলনা করা যেতে পারে। ওয়ার্ড ওয়ার্থের কবিতার মধ্যে যে সৌন্দৰ্য্যসত্য প্রকাশিত হয়েচে, তা পূৰ্ব্বোক্ত ফরাসীস সৌন্দর্য্যসত্য অপেক্ষ বিস্তৃত। র্তার কাছে পুষ্প পল্লব নদী নিৰ্ব্বর পর্বত প্রান্তর সর্বত্রই নব নব সৌন্দর্য্য উদ্ভাসিত হয়ে উঠচে । কেবল তাই নয়, তার মধ্যে তিনি একটা আধ্যাত্মিক বিকাশ দেখতে পাচ্চেন—তা’তে করে” সৌন্দর্য্য অনস্ত বিস্তার এবং অনন্ত গভীরতা লাভ করেচে । তার ফল এই যে, এরকম কবিতায় পাঠকের শ্রাস্তি তৃপ্তি বিরক্তি নেই ;–ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতার মধ্যে সৌন্দর্য্যের এই বৃহৎ সত্যটুকু থাকাতেই তার এত গৌরব এবং স্থায়িত্ব । বৃহৎ সত্য কেন বলুচি, অর্থাৎ বৃহৎই বা কেন বলি, সত্যই বা কেন বলি, তা অার একটু পরিস্কার করে বল্বার চেষ্টা করি। পরিষ্কার হবে কি না বলতে পারি না, কিন্তু যতটা বক্তব্য আছে এই সুযোগে সমস্তটা বলে রাখা ভাল । একটি পুষ্পের মধ্যে অামাদের হৃদয়ের প্রবেশ করবার একটি মাত্র পথ আছে—তার বাহ্য সৌন্দৰ্য্য। ফুল চিস্ত করেন, ভালবাসে নী, ফুলের সুখ দুঃখ নেই, সে কেবল সুন্দর আকৃতি নিয়ে ফোটে। এই জন্ত সাধারণতঃ ফুলের সঙ্গে মানুষের আর কোন সম্পর্ক নেই, কেবল আমরা ইন্দ্রিয়যোগে তার সৌন্দর্য্য
