বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

歌》● সtধন । স্বারা আমাদের অধিকসংখ্যক চিত্তবৃত্তির চরিতার্থতা লাভ হয় তবে কবি আমাদের আনন্দের একটি নূতন উপায় আবিষ্কার করে দিলেন বলে তাকে সাধুবাদ দিই । বহিঃপ্রকৃতির মধ্যে আত্মার সৌন্দৰ্য্য সংযোগ করে দিয়ে কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থ এই কারণে আমাদের নিকট এত সন্মানাস্পদ হয়েচেন। ওয়ার্ডসওয়ার্থ যদি সমস্ত জগৎকে অন্ধ যন্ত্রের ভাবে মনে করে” কাব্য লিখতেন, তাহলে তিনি যেমনই ভাল ভাষায় লিখুন না কেন সাধারণ মানবহৃদয়কে বহুকালের জন্যে অাকর্ষণ করে” রেখে দিতে পারতেন না । জগৎ জড় যন্ত্র কিম্ব অtধ্যাত্মিক বিকাশ এ দুটো মতের মধ্যে কোনটা সত্য সাহিত্য তা নিয়ে তর্ক করে না-কিন্তু এই দুটো ভাবের মধ্যে কোন ভাবে মানুষের স্থায়ী এবং গভীর আনন্দ সেই সত্যটুকুই কবির সত্য, কাব্যের সত্য । কিন্তু, যতদূর মনে পড়ে, আমার প্রথম পত্রে এ সত্য সম্বন্ধে আমি কোন প্রসঙ্গ উত্থাপন করি নি। কি বলেচি মনে নেই, কিন্তু যা বলতে চেয়েছিলুম, তা হচ্চে এই যে, যদি কোন দার্শনিক বৈজ্ঞানিক সত্যকে সাহিত্যের অন্তর্গত করতে চাই তবে তাকে আমাদের ভাল লাগা মন্দ লাগা, আমাদের সন্দেহ বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত করে, আমাদের মানসিক প্রাণপদার্থের মধ্যে নিহিত করে দিতে হবে —নইলে, যতক্ষণ তাকে স্বপ্রকাশ সত্যের আকারে দেখাই ততক্ষণ তার অঙ্ক নাম। যেমন নাইট্রোজেন তার আদিম আকারে বাষ্প অথবা জন্তুশরীরে রূপান্তরিত হলে তবেই সে আমাদের খাদ্য ; তেমনি সত্য যখন মানব-জীবনের সঙ্গে মিশে যায় তখনি সাহিত্যে ব্যক্ত হতে পারে ।