বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য। । t'; কিন্তু আমি যদি বলে থাকি দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক সত্যের উপযোগিতা নেই তবে সেটা অত্যুক্তি। আমার বলবার অভি. প্রায় এই যে, সাহিত্যের উপযোগিতা সবচেয়ে বেশি। বসন না হলেও চলে (অবশু লোকে অসভ্য বলবে) কিন্তু অশন না হলে চলে না । হৰ্ব্বার্ট স্পেন্সর উল্টো বলেন । তিনি বলেন সাহিত্য বসন এবং বিজ্ঞান অশন । বিজ্ঞানশিক্ষা আমাদের প্রাণরক্ষা এবং জীবনযাত্রার অনেক সাহায্য করে স্বীকার করি কিন্তু সে সাহায্য আমরা পরের কাছ থেকে নিতে পারি। ডাক্তারের কাছ থেকে স্বাস্থ্যরক্ষার উপদেশ, কেমিষ্টের কাছ থেকে ওষুধপত্র, যান্ত্রিকের কাছ থেকে যন্ত্র আমরা মূল্য দিয়ে নিতে পারি। কিন্তু সাহিত্য থেকে যা পাওয়া যায় তা অার কারে কাছ থেকে ধার করে” কিম্বা কিনে নিতে পারিনে। সেটা আমাদের সমস্ত প্রকৃতি দিয়ে আকর্ষণ করে” নিতে হয়, সেটা আমাদের সমস্ত মনুষ্যত্বের পুষ্টি সাধন করে । আমাদের চতুর্দিক বৰ্ত্তী মনুষ্যসমাজ তার সমগ্র উত্তাপ প্রয়োগ করে আমাদের প্রত্যেককে প্রতিক্ষণে ফুটিয়ে তুলচে, কিন্তু এই মানবসমাজের বিচিত্র জটিল ক্রিয়া আমরা হিসাব করে পরিস্কার জমাখরচের মধ্যে ধরে নিতে পারিনে ; অথচ একজন ডাক্তার আমার যে উপকারটা করে, তা খুব স্পষ্ট ধারণাগম্য। এই জন্যে হঠাৎ মনে হতে পারে মনুষ্যসমাজ আমাদের বিশেষ কিছু করে না, ডাক্তার তার চেয়ে ঢের বেশি কাজ করে। কিন্তু সমার্জের অন্যান্ত সহস্র উপকার ছেড়ে দিয়ে, কেবলমাত্র তার সান্নিধ্য, মনুষ্যসাধারণের একটা আকর্ষণ, চারিদিকের হাসিকান্না, ভালবাসা, বাক্যালাপ না পেলে আমরা যে মানুষ হতে পারতুম না সেটা আমরা ভুলে যাই । আমরা ভুলে যাই সমাজ 하 - .."