বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

建** जाँथम । প্রথম দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে শরীরের উপর এই জীবাণুবংশের কোন বিশেষ ফললাভ নাও দেখা যাইতে পারে . কিন্তু ক্রমেই তাহাদের বৃদ্ধি সহকারে শরীরের অপকার হইতে থাকে। এখন দেখা আবশ্যক কি করিলে এই রোগবীজকে বৃদ্ধি পাইতে ন৷ দিয়া একেবারে গোড়াতেই বিনাশ করা যায় । দেখিতে পাওয়া যায় যে, সকল রোগ কিছু সমস্ত শরীরকে অধিকার করিয়া বসে না, প্রত্যেক রোগের স্থানবিশেষের উপর প্রভাব এবং সেই অংশ ব্যতীত আর কোথাও তাহা স্থান লাভ করিতে পারে না। ইহার অর্থ এই, প্রত্যেক জাতীয় জীবাণুবীজ শরীরের বিশেষ বিশেষ স্থানেই তাহার পরিণতির আবশ্যকীয় উপাদান পাইতে পারে সকল স্থানে তাহ পায় না । এই বিশেষ স্থানগুলিকে ইংরাজি বৈজ্ঞানিক ভাষায় বীজের নাইডস্ বলে, বাঙ্গলায় নীড় বলা যাইতে পারে । এই নীড়ে, অবশ্যই এমন কোন পদার্থ নিহিত থাকে, যাহার সহিত ংযোগ ব্যতীত জীবাণুবীজ পরিণত হইতে পারে না । এবং সেই পদার্থ নিশ্চয়ই অনন্ত পরিমাণে শরীরে থাকে না । অতএব, পূৰ্ব্বলিখিত তালিক অনুসারে যেরূপ দ্রুতবেগে জীবাণুগুলির বৃদ্ধি হয় তাহাতে উক্ত পদার্থ শীঘ্রই নিঃশেষিত হইবার কথা । এই জীবনসঞ্চারক পদার্থ নিঃশেষ হইবার পর যে সকল বীজ শরীরে উৎপন্ন হয় তাহারা পরিণতির উপাদান অভাবে নিরীহ অবস্থাতেই থাকিয়া যায় । যেগুলি পরিণতি লাভ করিয়াছে , তাহাদের জীবন শেষ হইলেই রোগেরও নিবৃত্তি হয়। একটা বড় সুবিধা এই যে, এই নীড়স্থ পদার্থ একবার ফুরাইলে আর দ্বিতীয় বার প্রায় শরীরে জন্মায় না, সেই জন্য যাহার একবার বসন্ত, টাইফয়ড, প্রভৃতি রোগ হইয়াছে তাহার আর