বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

総。な नां श्रुन ! স্থানে আছে। “অতিরাত্রে ষোড়শীং গৃহ্নাতি নীতিরীত্রে ষোড়শীং গৃহ্লাতি।” ইত্যাদি। অতএব, কেবলমাত্র ব্যাকরণ স্বত্রের দ্বারা কোনও ইতিবৃত্ত নির্ণয় হইতে পারে না।” (ঐতিহাসিক রহস্য, ৩য় ভাগে, পাণিনি শীর্ষক প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য । ) অতএব পাণিনির গ্রন্থে যদি কোনও বিষয়ের ও কোনও দেশের উল্লেখ না থাকে, তবে তাহা যে, তৎকালে জনসাধারণের নিকট অবিদিত ছিল, এরূপ সিদ্ধান্ত করিবার কোনও কারণ দেখা যায় না। পাণিনিকে যে তৎকালপ্রচলিত বা জ্ঞাত সমস্ত বিষয়েরই উল্লেখ করিতে হইবে, এরূপ বিবেচনা করা সঙ্গত বলিয়া বোধ হয় না। পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীতে বসুদেব, অর্জুন, যুধিষ্ঠির প্রভৃতি মহাভারতীয় ব্যক্তিবৃন্দের উল্লেখ আছে, পতঞ্জলির মহাভাষ্যে ও উদাহরণস্থানে মহাভারতবর্ণিত প্রসিদ্ধ ব্যক্তিগণের পুনঃ পুন: উল্লেখ করা হইয়াছে । কিন্তু তাহাদের গ্রন্থে কোনও স্থলেই রামচন্দ্র দশরথ বা রামায়ণবর্ণিত কোনও ব্যক্তির নাম দৃষ্ট হয় না। এখন কি গোল্ড কার বলিবেন যে,পতঞ্জলির (১৫-পূঃ খৃঃ) পরবর্তী সময়ে রামচন্দ্রাদি প্রাচুভূত হইয়াছিলেন ? অতএব পাণিনি দাক্ষিণাত্যের অন্তর্গত প্রদেশ সমুহের উল্লেখ করেন নাই বলিয়াই যে, তাহার সময় উক্ত প্রদেশ সমূহ আৰ্য্যগণের নিকট অবিদিত ছিল, এরূপ সিদ্ধান্ত করা যুক্তিযুক্ত নহে। আমরা পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি পাণিনির বহুপুৰ্ব্ববৰ্ত্তী মহাভারতের সময়ে দাক্ষিণাত্যে আর্য্যগণের বিজয়পতাকা উডডীন হইতেছিল ; এবং মহাভারতেরও পূৰ্ব্ববৰ্ত্তা রামায়ণের সময় আৰ্য্যগণ দাক্ষিণাত্যে প্রবেশ করিতেছিলেন। এখন রামায়ণ ও মহাভারতের সময় নিরূপণ করিতে পারিলেই, দাক্ষিণাত্যে আর্য্যগণের উপনিবেশ স্থাপনের সময় নির্ণয় করিতে পারা যায় ।