श्रांशें डै*निरद* । . «а» বৈরাকরণিক সঙ্কেত কেবল প্রচলিত সাধু শম্বের প্রকৃতি প্রত্যয় বিভাগ দেখিয়া, তাহার সাধুতা সপ্রমাণ করিয়া দেয় মাত্র। এতদ্বভিন্ন কোন ও ইতিহাস নির্ণয় করিয়া দেয় না। প্রকৃত্তি প্রত্যয়ের বিভাগ ও সাধনপ্রণালী প্রদর্শন পূর্বক বিশেষ শঙ্ককে অর্থবিশেষে ব্যবস্থাপন করাই ব্যাকরণের মুখ্য উদেশ্য। কিন্তু পারিভাষিক বা নিগুঢ় সঙ্কেতযুক্ত শব্দের উপর ব্যাকরণের কিছু মাত্র প্রভুত্ব নাই। সুতরাং ব্যাকরণের সহিত তাদৃশ শব্দের কোন ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ নাই । ইহা সত্য কি অসত্য নিদর্শন দেখাইতেছি । পুরাণে একটি শব্দ আছে, “পঞ্চাস্ত্ৰ” । ... এই পঞ্চান্ত্র শব্দটির অর্থ পাণিনি বলিবেন, পাচটি আম্রবৃক্ষ। বস্তুতঃ তাহা নহে। নিম্ব, অশখ, বট, জাতিপুগ, দাড়িম্ব এই সকল বৃক্ষ একত্রে রোপণ করিলে তৎসমুদায়কে পঞ্চাম্র বলে, ... । যদিও পঞ্চাস্ত্র শব্দটির উৎপত্তি পাণিনির পরে হইয়া থাকে এমতও হয়, তথাপি তৎপরবর্তী আচার্য্যের বা ব্যাকরণকৰ্ত্তারা তাহা পরিত্যাগ করিবেন কেন ? ইহাতে বুঝিতে হইবে ষে, ব্যাকরণ নিয়মের মধ্যে তাদৃশ শব্দের সমাবেশ করিবার সম্ভাবনা নাই, ' এবং তজ্জন্যই তাদৃশ শব্দের বর্জন আছে। “জীর একটি শব্দ আছে "ষোড়শী” । এই শব্দের অর্থ পাণিনি বলিবেন ষোল সংখ্যার পূরণী । (কিন্তু) বেদে বলে, একটি যজ্ঞপাত্র অর্থাৎ সোমরস গ্রহণের পাত্র । এই ষোড়শী শব্দটি পাণিনি কি অন্য কোন ব্যাকরণের মতে যজ্ঞপাত্র বুঝায় না। যুক্তিতে দেখা যায়, ইহা পাণিনির পূৰ্ব্বে উৎপন্ন হইলে পাণিনি ব্রাহ্মণদিগের সর্বস্বধন সোমের পাত্র বিস্তুতি হইয়া ষোল ংখ্যায় পূরণ মাত্র বলিয়া ক্ষান্ত হইতেন ন! ! ! কিন্তু পাঠকগণ বলিয়া দিতেছি, ইহা পাণিনির চিরপরিচিত যুজুৰ্ব্বেদের সহজ
পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৪০৪
অবয়ব