পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরনিন্মর জন্ম বিবরণ। ৪৪১ পরিমাণে স্বপ্ন দেখিতেন ; তখন বেদ পড়িয়া লোকে ওলাউঠা এবং মাথার রোগ হইতে নিষ্কৃতি পাইত—এই সকল আশ্চৰ্য্য যুক্তি দেখাইয়া সনাতন ধৰ্ম্ম-প্রচারকেরা বজনিনাদে ঘুমন্ত ভারতকে জাগ্রত করিতে চেষ্টা করিবেনই । ঠাট সব বজায় থাকিবে অথচ পৃথিবী হাই তুলিবে না—এমনটি কিসে হয় ? দেবতারা ভাবিতে ভাবিতে অবশেষে একটি চমৎকার সিদ্ধাস্তে আসিলেন। তাহারা পৃথিবীকে বলিলেন-"বাছা, তুমি আর হাই তুলিও না। দেখ, ব্রহ্মা স্বষ্টি করিয়াছেন, বিষ্ণু পালন করিতেছেন, এৰং মহেশ্বর প্রলয় করিবেন। কিন্তু তুমি হাই তুলিলে ব্ৰহ্মা আর স্বষ্টি করিবেন না, বিষ্ণু ঘুমন্ত জগতকে আর পালন করিতে পারিবেন না। তিনিও নিদ্র। যাইবেন, এবং তিনি নিদ্রা গেলে নিদ্রাবস্থায় পাইয়া মহেশ্বর সকলকে প্রলয়ে পাঠাইবেন । সুতরাং তোমাকে জাগিয়া থাকিতেই হইবে । এখন তুমি নিশ্চিন্ত হইয়। স্বস্থানে প্রত্যাগমন কর। আমরা শীঘ্র ব্যবস্থা করিয়া পাঠাইতেছি।” । এই বলিয় তাহারা অহঙ্কার শর্মাকে স্মরণ করিলেন। ইনি একজন বিখ্যাত পুরুষ । ইহঁার মাথা কেবল নিম্ন দিকে থাকে, সুতরাং ইনি সকল লোককে ইহা অপেক্ষ নীচে দেখেন। এবং ইহঁীর মুখ হইতে “আমি আমি” রব দিন রাত্রি বাহির হইতেছে। , অহঙ্কারকে দেখিয়া দেবতারা বলিলেন—“অহঙ্কার তুমি এত দিন একাকী ছিলে। এখন তোমাকে বিবাহ করিতে হইবে। তুমি শীঘ্ৰ পৃথিবীতে যাইরা একটি স্বন্দরী কন্যাকে বাছিয়া লইয়া তাহার সঙ্গে শুভ উদ্বাহে বদ্ধ হও ।” অহঙ্কার “আমি আমি” বলিতে বলিতে নামিয়া আসিলেন । । নানা দেশ পৰ্য্যটন করিয়া অবশেষে একটি পাত্রীকে তাহান্ন