বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌরবি ও রোস্তম । ఉళి রোস্তম তাহার একটি মাত্র পুত্রের মৃত্যু হইয়াছে জানিবেন তখন তাহার হৃদয়ে কিরূপ আঘাত লাগিবে ! পিতার কথা ততটা ভাবি না-আমার মাতা আমাকে না দেখিয়া কি রূপে বাচিবেন ! বিদায় লইবার সময় মাতা কতবার অশ্রুপূর্ণনয়নে বলিয়াছিলেন—“বৎস, শীঘ্ৰ যুদ্ধ হইতে ফিরিও-বিলম্ব করিও না।” আমি তাহাকে আশ্বাস দিয়া আসিয়াছি, কিন্তু আর তাহার সহিত দেখা হইল না।” এই বলিয়া সোরাব বালকের ন্যায় উচ্চস্বরে কাদিতে লাগিলেন । - রোস্তমের এখনও বিশ্বাস হইল না যে সোরাবই তাহার পুত্র। পুত্র হইয়াছে গুনিলে রোস্তম শৈশবে তাহাকে কাড়িয়া লইবেন এই ভয়ে তাহমিনা রোস্তমকে তাহার কন্যা হইয়াছে এই মিথ্যা সম্বাদ দেন। সেই অবধি রোস্তমের বিশ্বাস যে র্তাহার পুত্র হয় নাই কন্যা কইয়াছে। তবুও সোরাবের কথা শুনিয়া যৌবনের স্মৃতিবিজড়িত অনেক কথা মনে পড়িয়া রোস্তমের চোখে জল আসিল। তিনি দুঃখিত স্বরে বলিলেন, “তোমার মত পুত্র পাইলে রোস্তমের আনন্দের আর সীমা থাকিত না। কিন্তু তুমি ভুল বলিতেছ, রোস্তমের পুত্র হয় নাই।” . এক হস্তের উপর ভর দিয়া, অল্প একটু উঠিয়া সোরাব ক্রুদ্ধস্বরে বলিলেন, “বিশ্বাস করিতেছ না ! যতদিন বঁাচিয়াছিলাম মিথ্যা হইতে দুরে ছিলাম—এখন মরিতে আসিয়া কি মিথ্যা বলিব ! আমি রোস্তমের পুত্র কি না প্রমাণ দেখিতে চাহ ?” এই বলিয়াসোরাব দক্ষিণ বাহুতে রোস্তমের নামখোদিত কবচ দেখাইয়া কহিলেন—“রোস্তম এই কবচ মাতাকে দিয়াছিলেন,বলিয়াছিলেন যে, পুত্র হইলে তাহার দক্ষিণ হস্তে এই কবচ বাধিয়া দিও।”