বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীপুরুষের ভেদাভেদ । " وه গ্রীলোকের সকল সময়েই বিশেষতঃ সন্তানোৎপাদনের উপযোগী বয়সে শরীরের গুরুতার তুলনায় অপেক্ষাকৃত অল্প পরিমাণ আজারিক অন্ন নিঃশ্বাস দ্বারা পরিত্যাগ করে ; ইহাতে এই প্রকাশ পায় যে স্ত্রীলোকদিগের দৈহিক শক্তির বিকাশ শুধু আগেক্ষিকরূপে কম নহে—আসলেই কম। স্ত্রীলোকের ব্যক্তিগত ৰিকাশ অপেক্ষাকৃত শীঘ্ৰ থামিয়া যাওয়ায় তাহাদের দেহের স্বায়ব পৈশিক তন্ত্র ততটা বৃদ্ধি পাইতে পারে না—একটু ক্ষুদ্রাকারের হয় ; সুতরাং যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গসকল দেহের কাজ করে এবং যে মস্তিষ্ক অঙ্গ প্রত্যঙ্গদিগকে কাজ করায় এ উভয়ই অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র হইয় থাকে—এবং এই কারণে স্ত্রীলোকের মনের উপর দুইটি ফল হয়। তাহাদের মানসিক বৃত্তি-সমূহের প্রকাশে তেমন শক্তিমত্তা কিম্বা প্রকাণ্ডত উপলব্ধি হয় না ; এতদ্ব্যতীত মানবীয় ক্রম-বিকাশের যে দুইটি চরম ফল, বুদ্ধিবৃত্তি ও ভাববৃত্তি এই উভয় বৃত্তিতেই কিঞ্চিৎ মূনতা দৃষ্ট হয় ; স্বক্ষতম তত্ত্বমূলক যুক্তি তাহারা বুদ্ধি দ্বারা তেমন গ্রহণ করিতে পারেন না কিম্বা স্বল্পতম ভাব-যেমন ন্যায়পরতা—র্তাহার তেমন মনোমধ্যে আয়ত্ত করিতে পারেন না। যে অনুরাগ-বিরাগ ব্যক্তিবিশেষের প্রতি অনুভূত হয় তাহাই তাহারা বুঝিতে পারেন কিন্তু ন্যায়পরত। কিনা ব্যক্তিগত অনুরাগ-বিরাগের উপর একাত্ত নির্ভর করে না, তাই সে ভাবটি তাহারা চট করিয়া ধরিতে পারেন না। এ তো গেল স্ত্রীপুরুষের পরিমাণগত প্রভেদ। এখন প্রকৃতিগত প্রভেদ কি তাহ একবার আলোচনা করিয়া দেখা যাক। স্ত্রীপুরুষের পরস্পরের মধ্যে ধে সম্বন্ধ ও স্ত্রীপুরুষের সহিত লিঙ্গ