বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীপুরুষের ভেদাভেদ । | v8°, তাহারাই জীবনসংগ্রামে টিকিয়া গিয়াছে। এবং এই সকল বিজয়ী অসভ্য জাতি হইতেই সভ্য জাতি দিগের উৎপত্তি । সুতরাং সভ্যজাতিদিগের পূর্বপুরুষের প্রকৃতিতে পাশব-বৃত্তির যে প্রাবল্য ছিল তাহাতে আর সন্দেহ নাই । কাজে কাজেই, এই সকল জাতির অন্তর্গত স্ত্রীলোকদিগের সহিত নিষ্ঠুর পুরুষদিগের সংসর্গ হওয়ায় ঐ সকল স্ত্রীলোক পুরুষদের মন যোগাইয়া যে পরিমাণে চলিতে পারিত সেই পরিমাণে তাহারা সুখ সম্পদের ভাগী হইত। সেই সকল স্ত্রীলোক স্বীয় বলের দ্বারা তো নিজ সত্ত্ব রক্ষা করিতে পারিত না—তবে কি উপায়ে তাহ বজায় রাখিত ? বিশেষ অবস্থায় পড়িয় তাহদের কতকগুলি বিশেষ মানসিক লক্ষণ উৎপন্ন হয়,তাহারই প্রভাৰে তাহারা জীবন-সংগ্রামে সফলতা লাভ করিত। প্রথমতঃ মনোর প্রন করিবার ক্ষমতা— এবং তাহার সঙ্গে সঙ্গে প্রশংসা লাভের ইচ্ছা তাহাদের বলবতী ছিল । স্পষ্ট দেখা যাইতেছে, তৎকালে পুরুষদিগের দয়ার উপর একান্ত নির্ভক্স করিয়া স্ত্রীলোকমাত্রকেই থাকিতে হইত ; সুতরাং যে সকল স্ত্রীলোক পুরুষদের বেশি মন যোগাইতে পারিত তাহারাই টিকিয়া থাকিয়া নিজ বংশ রাখিয়া যাইত। এবং বংশানুক্রমে এই সকল গুণ স্ত্রীজাতিতে প্রবাহিত হইয়া অাদর ষত্ব পাইবার বিশেষ ইচ্ছা এবং তাহার আনুষঙ্গিক বিশেষ হাব-ভাব স্ত্রী স্বভাবে যে বদ্ধমূল হইবে তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ! আবার, যে সকল স্ত্রীলোক নিষ্ঠুর অসভ্য স্বামী কর্তৃক প্রপীড়িত হইয়াও নিজ মনোকষ্ট গোপন করিয়া রাখিতে পারিত তাহাদেরই সৰ্ব্বপ্রকারে ভাল হইত। এবং এইরূপে এই ধৈর্য্যগুণও কৌলিক নিয়ম প্রভাবে স্ত্রীজাতিতে বদ্ধমুল হইয়াছে ।