বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সারসংগ্রহ। 3 3 এই যে, পার্শ্ববৰ্ত্তী দুৰ্ব্বল রাজাকে বল বা কৌশলের দ্বার। ইংরাজের আমুগত্য স্বীকার করান । পরম্পরের মধ্যে এইরূপ করার থাকে যে ইংরাজ তাহাকে শক্র আক্রমণ হইতে রক্ষা করিবে এবং সে ইংরাজ ছাড়া অন্ত কোন প্রবল রাজাকে সাহায্য করিতে পরিবে না। ১৭৬৫ খৃষ্টাব্দে যখন ইংরাজ বঙ্গদেশ অধিকার করিলেন তখন মহারাট্টদের সংঘর্ষ হইতে রক্ষা পাইবার উদ্দেশে মাঝখানে অযোধ্যাকে আশ্রিতরাজ্যস্বরূপ রক্ষা করিয়াছিলেন এবং বর্তমান শতাব্দীর প্রারম্ভে সেই কারণেই মধ্য ভারতের রাজপুত রাজ্যসকলকে আশ্রয় দান করা হইয়াছিল। পঞ্জাব অধিকারের পূৰ্ব্বে শিখদিগের আক্রমণ ঠেকাইবার জন্ত শতদ্রুতীরে গুটিকতক ছোট ছোট পোষ্য রাজা রাখিতে হইয়াছিল। এইরূপে বাঙ্গলাদেশ হইতে আরম্ভ করিয়া মাঝে মাঝে এক একটা বাধ বাধিয়া ইংরাজ ভারতের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রাস্ত পর্য্যস্ত অধিকার করিয়া লইল । ভারতের নীচের দিকে সমুদ্র ও উপরের দিকে হিমালয়ের দুই মস্ত বেড়া আছে। অতএব মনে হইতে পারে একবার ভারতের প্রান্তে আসিয়া পৌছিলে আর আশ্রিত রাজ্যপাতের আবশ্যক নাই। কিন্তু ওদিকে মধ্য এসিয়া হইতে রুশিয়া ঠিক ইংরাজের কৌশল অবলম্বন করিয়া এক এক পা অগ্রসর হইতেছে। সে ও খানিকটা করিয়া দথল এবং খানিকটা করিয়া সন্ধিরাজ্য স্থাপন করে। এমনি করিয়া ইংরাজ ও রুশিয়া দুই সাম্রাজ্যের সন্ধিরাজ্য অক্সস্ নদীর দুই তীরে আসিয়া ঠেকিয়াছে। রুশিয়ার পক্ষে বোথার এবং ইংরাজের পক্ষে আফগানিস্তান, ও বেলুচিস্তান। অতএব পৰ্ব্বতের আড়ালে আসিয়াও রক্ষা নাই, তাহার পরপারেও সতর্ক দৃষ্টি রাখিতে হয়। আফগানিস্থান ও