পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সৌন্দর্য্য-তত্ত্ব

 সৌন্দর্য্য, তুমি স্বর্গের দূত—দুঃখীর সান্ত্বনা। তুমিই প্রকৃতি-মন্দিরের দ্বারা মুক্ত করিয়া জগদতীত বার্ত্তা আমাদের নিকট আনয়ন কর। স্বর্গ ও মর্ত্ত্যের মাঝখানে যে যবনিকা চির-কল্যাণকে আবৃত করিয়া রহিয়াছে, তোমারই প্রেম-হস্ত সেই মায়া-আবরণ আমাদের চক্ষুর নিকট হইতে অপসারিত করে। তুমি কত অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি, কত বধিরকে শ্রবণ-জ্ঞান দিয়াছ। তোমার স্পর্শে শুষ্ক তরু মুঞ্জরিত—মরুভূমিতে নির্ম্মল উৎস উৎসারিত হইয়া উঠে। তুমি কত ওমর, পল, কত জগাই মাধাইকে অপার্থিব জ্যোতিতে মণ্ডিত করিয়াছ। হে সৌন্দর্য্য, তোমায় কত রূপে ভিতরে বাহিরে দেখিতেছি, কিন্তু আজ পর্য্যন্তও তোমার তত্ত্ব জানিতে পারিলাম না।

 যখন বৈজয়ন্তের অফুটন্ত মুকুলের মত কোন্ অজ্ঞাত রাজ্য হইতে সমাগত একটি ক্ষুদ্র জীব প্রথম বসুন্ধরার অঙ্ক অলঙ্কৃত করে,—জননীর হৃদয় আনন্দ-রসে উচ্ছ্বসিত করিয়া তোলে; তখন লোক-কোলাহলময়ী কর্ম্মভূমিতে সেই নবাগত যাত্রীটির নয়নপথে সর্ব্বাগ্রে কোন্ বস্তু