পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
সাহিত্য-চিন্তা

সুসজ্জিত করে,—নিত্য একই তটিনী অনিল-প্রবাহে তরঙ্গভঙ্গে ছুটিয়া যায়,—সন্ধ্যার রক্তিম আভায় ধরণীকে রঞ্জিত করিয়া রবি অস্তাচল চূড়ায় অদৃশ্য হয়। নিত্য একই ভাবে রূপসী অপ্সরার মত নক্ষত্রকুল রূপের আভায় বিশ্ব মোহিত করিয়া যেন অন্তরের কপাট খুলিয়া হাসিয়া উঠে। নিত্যই চন্দ্রমা রজতচন্দ্রিকা-লহরে ধরণীকে ভূষিত করে। প্রকৃতি-রাণীর প্রতি অঙ্গের ভুবনমেহিনী মাধুরী একই রূপে কত কাল ধরিয়া দেখিতেছি; কই, দেখিয়া তো সাধ মিটে না. আঁখি পরিতৃপ্ত হয় না। ঐ সৌন্দর্য্য-বিভব যেন নিত্যই নূতন। প্রেমই পুরাতনে নূতনত্ব দান করে। কারণ প্রেম স্বয়ং চৈতন্যময়ী মহাশক্তিরই চিরন্তন সৌন্দর্য্য।

 প্রেমই প্রাণে সৌন্দর্য-বোধ জাগ্রত করে; সেই প্রেম দুই মূর্ত্তিতে জগতে দর্শন করা যায়; স্বভাব-বিকশিত এবং সাধন-বিকশিত।

 শিশু মাকে ভালবাসে, একটু না দেখিলেই মা মা বলিয়া কাঁদিয়া অস্থির হয়। সংসারের সঙ্গে যাহার অল্পই পরিচয় জন্মিয়াছে, যে অস্ফুট হৃদয়ে জ্ঞানের কিছুমাত্র বিকাশ নাই, সে এত ভালবাসা কোথা হইতে লাভ করিল? তাহার প্রেম স্বভাবে জন্মিয়া স্বভাব