বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষোড়শ ভাগ).pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“শূন্যপুরাণ” সম্বন্ধে মন্তব্য শ্ৰদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় মহাশয় শূন্য পুরাণের আলোচনা করিয়া কি একটী নুতন তথ্য প্ৰকাশ করিয়াছেন । তাহার। প্ৰবন্ধটি পাঠ করিয়া আনন্দলাভ করিয়াছি । তঁহার বর্তমান প্ৰবন্ধের উপর কোনরূপ মত প্ৰকাশ করিবার ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু তিনি প্ৰবন্ধ মধ্যে আমার মত জানিবার জন্য অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিয়াছেন, তজজন্য আমার যাহা বক্তব্য আছে, তাই অতি সংক্ষেপে জানাইতেছি । প্রথমেই তিনি লিখিয়াছেন “শূন্যপুরাণখনির রচনাকাল সম্বন্ধে নগেন্দ্রবাবু বহু ইতিহাস উদঘাটন করিয়াছেন, কিন্তু অনুমান দৃঢ় করিতে পারেন নাই ।” (২০৩ পৃঃ ) cयाc१ाभदाबूझ এই অভিযোগটা সমীচীন মনে করি না । আমি শূন্যপুরাণের মুখবন্ধে ২/৩ ও २ 9ि० छेाध গ্ৰন্থকারের সময় ও গ্ৰন্থকারের বাসস্থান সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছি। যোগেশবাবুও পরে শূন্য পুরাণের রচনাস্থান প্রসঙ্গে লিখিয়াছেন, “নিগেন্দ্র বাবু অনুমান করিয়াছেন, মধ্যরাঢ়ের দ্বারকেশ্বর নদীতীরে রামাই পণ্ডিতের আশ্রম ছিল। এখানকার গ্ৰাম্য শব্দের সহিত শূন্যপুরাণের শব্দের মিল আছে । এই হেতু স্কুলতঃ রাঢ়ের ভাষা বলিতেছি।” ( ২১৩ পৃঃ) সুতরাং শ্রদ্ধাস্পদ যোগেশবাবু এরূপ দুই প্ৰকার মত প্ৰকাশ করিলেন কেন ? তিনি লিখিয়াছেন, ‘শৃঙ্গপুরাণ শ্বেতনীলাদি পােচ প্ৰসিদ্ধ ধৰ্ম্মপণ্ডিতের অন্যতম রামাই পণ্ডিতের লেখা নহে। উহা পুরাণ হইতে পারে, পদ্ধতি হইতে পারে না । উহা খৃঃ একাদশ শতাব্দীর পরে রচিত।” (২০০৪ পৃঃ) উত্তরে আমার বক্তব্য-যখন ধৰ্ম্মপণ্ডিতগণ আবহমানকাল এই গ্ৰন্থখানিকেই ধৰ্ম্মপূজা প্ৰৰবর্তক রামাই পণ্ডিতের রচনা বলিয়া প্ৰকাশ করিতেছেন, যখন ঘনরাম প্রভূতি ধৰ্ম্মমঙ্গলের কবিগণ রামাই পণ্ডিতকেই ধৰ্ম্মপূজার পদ্ধতিকার বলিয়া কীৰ্ত্তন করিয়াছেন, আলোচ্য শূন্যপুরাণে যখন পুজা-পদ্ধতির অভাব নাই, এবং এখানিকে পদ্ধতি বলিয়া ধৰ্ম্মপণ্ডিতগণ আজও গ্ৰহণ ৷ করিয়া আসিতেছেন, তখন কি করিয়া বলিব যে এখানি ধৰ্ম্মপূজা প্ৰবৰ্ত্তক রামাই পণ্ডিতরচিত পদ্ধতি নহে? যোগেশবাবু বোধ হয় অবগত আছেন যে, এদেশে নন্দিকেশ্বরপুরাণ ও কালিকাপুরাণ অনুসারে দুর্গোৎসব হইয়া থাকে । অথচ উভয়ের পদ্ধতি স্বতন্ত্র। সেঙ্গরূপ রামাই পাণ্ডত শূন্য পুরাণে যে ধৰ্ম্মপুজার পদ্ধতি নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন, তাহাকে শূন্যপুরাণীয় ধৰ্ম্মপূজাপদ্ধতি বলিয়া গণ্য করিতে পারি। যোগেশবাবু পরে আবার লিখিয়াছেন-“পূজা KD DBDDD DBDDS BDBD DBBDBBBD DBBBDDB KE KEDDBD DBL DBBD DDDS S BBBLL গ্রন্থের দুই স্থানে পদ্ধতির লক্ষণ আছে। ৮৫ পৃষ্ঠে তীৰ্থ আবাহনে সংস্কৃত মন্ত্ৰ আছে। এই-- টুক পদ্ধতি।” (২০৬ পৃঃ ) যোগেশবাবুর বিশ্বাস, সংস্কৃত মন্ত্র না থাকিলে বুঝি পদ্ধতি হয় না। কিন্তু তিনি যদি গাজনের পদ্ধতি আদ্যোপান্ত আলোচনা করেন, তাহা হইলে বুঝিতে পরিবেন যে গাজনের