বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক।
১৯

রাং গৃহীব্যক্তি স্ত্রীশূন্য হইলে শাস্ত্রানুসারে ধর্ম্মকর্ম্ম করিতে হইলে সস্ত্রীক হইয়া কার্য্য করাই কর্ত্তব্য; বিশেযতঃ রাজসূয়, বাজপেয়, অশ্বমেধ প্রভৃতি যজ্ঞের অনুষ্ঠান করা রাজাদিগের সাধ্য তাহা সস্ত্রীক ভিন্ন হইবার সম্ভাবনা নাই, সুতরাং নানাকারণে আপনকার বিবাহ করা সর্ব্বতোভাবে উচিত। বীরজিৎসিংহ উদ্বাহের কথায় কোন উত্তর দান না করিয়া, দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগপূর্ব্বক নীরবে অশ্রুবিসর্জ্জন করিতে লাগিলেন। মধ্যে মধ্যে কেবল, হা প্রিয়সি! হা চিত্তরঞ্জনকারিনি! হা প্রাণেশ্বরি! তোমার স্নেহ, দয়া, মমতাতে একেবারে জলাঞ্জলি দিয়া আমি আবার কি পরিণয় আমোদে আমোদিত হইব? আবার কি প্রণয়ডোরে আকৃষ্ট হইব? আমি কি এমনি পাপিষ্ঠ, এমনই নরাধম, এমনি কৃতঘ্ন যে, প্রাণাধিক প্রিয়তমার প্রণয় বিস্মৃত হইয়া, নিতান্ত পামরের ন্যায়, অপরস্ত্রীতে আসক্তি প্রকাশ করিব? পুনরায় বিবাহ করিব? অন্য কামিনীকে মন সমার্পণ করিব? আবার কৌতুকরসে মজিব? তাহা কখনই হইবে না; এবম্প্রকার আত্মভর্ৎসন শ্রবণ করিয়া অনুরোধকারী ব্যক্তিদ্বয় মনে করিলেন; আপাততঃ এ প্রস্তাব করা অনুচিত, এক্ষণে সান্ত্বনাবাক্যে