পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
সুলোচনা কাব্য।

প্রবোধ দান করাই কর্ত্তব্য। এরূপ দুঃখাকৃষ্টচিত্তকে সহসা সুখাস্বাদনের প্রলোভনে প্রলোভিত করা নিতান্ত সহজ ব্যাপার নহে।

 এইরূপ কল্পনা হওয়াতে উদয়নারায়ণমন্ত্রীর ও তর্কবাগীশের মনে উদয় হইল যে, এক্ষণে প্রতিদিন গতায়াত ও সান্ত্বনাবাদ দ্বারা প্রবোধ দান ভিন্ন মনঃস্থির করিতে পারা যাইবে না। প্রবল প্রবাহে কি মৃত্তিকাবাঁধ রক্ষা পায়, যতই মৃত্তিকা প্রদত্ত হয় সমস্তই খরস্রোতে স্থানচ্যুত ও বিগলিত হইয়া দূরে চালিত হয় তবে ক্রমে ঐ প্রবাহ মন্দীভূত হইলে, তৎকালে পূর্ব্বোপায় উদ্ভাবন করা কর্ত্তব্য। অতঃপর উভয়ে প্রতিদিন ভূপতি সন্নিধানে উপনীত হইয়া মহিষীর গুণানুকীর্ত্তন ও তৎসংক্রান্ত নানাকথার আলাপন দ্বারা প্রবোধ দানে প্রবৃত্ত হইলেন। কি শোক, কি তাপ, কি মনঃপীড়া, কোন ভাবই স্বভাবের সহিত সমভাবে অবস্থিতি করিতে পারে না। নরপতির শোকানল দিন দিন হ্রাস হইতে লাগিল। মহারাজের মনের অবস্থা ক্রমেই সুস্থির হইতে দেখিয়া, সময় বুঝিয়া তাঁহারা উদ্বাহ প্রস্তাব করিলেন। কালগতিকে মনের অবস্থার পরিবর্ত্তণ হইলে বীরজিৎসিংহও তাঁহাদিগের