পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের কথা হোলেও আমাদের পাঠশালায় তারা প্ৰবেশ করতে পান। নাই । আমাদের পাঠশালায় তখন একখানি বটতলার বই আদর পেয়েছিল । সেখানির নাম “শিশুবোধক’ । এ বইখানা ছেলেদের হাতে দেওয়া হোতো না । এখানি পাঠশালার সম্পত্তি । বইখানির আগাগোড়া গুরুমশাই ও সর্দার পোড়োদের কণ্ঠস্থ ছিল । তঁরা সকল ছাত্ৰকে লাইন বেঁধে দাড় করিয়ে, সুর ক’রে একটু একটু আবৃত্তি করতেন, আর সকল ছাত্র তেমনি করে আবৃত্তি করত । সর্দার পোড়োরা এমনি ক’রে ফলা, বানান, শতকিয়া, কড়াকিয়া, নামত, মনকষা প্ৰভৃতি ঘোষণা করতেন, আর সকলে তারই প্ৰতিধ্বনি করত । এমনি ক’রে ছাত্রেরা ঐ সকল নীরস নামতী, কড়া গণ্ডা, মাসমাহিনী সমস্তই অনায়াসে শিখে ফেলত ; আক্লেশে সমস্ত কণ্ঠস্থ হোয়ে যেত ; ছেলেরা বুঝতেও পারত না যে, তারা ভীষণ অঙ্কশাস্ত্রটা এমন সহজে আয়ত্ত করে ফেলেছে । এই যে পাঠশালার শিক্ষাপদ্ধতি, ইহা বিদ্যালয়ের পদ্ধতি অপেক্ষা সে সৰ্ব্বাংশে উৎকৃষ্ট, সে বিষয়ে সন্দেহ মাত্র নাই । আমার ত মনে হয়, শিক্ষার আরম্ভ। এমনি করেই করা কীৰ্ত্তব্য । আমার মনে পড়ছে, পরলোকগত লর্ড সিংহ ( সত্যেন্দ্ৰপ্ৰসন্ন সিংহ ) মহােশর তার বাল্য-জীবনের কথা କr