পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের পাঠশালা এই হাতে-খড়ি হয়ে গেলে, আবার একটা শুভদিন দেখে ছেলেকে পাঠশালায় ভৰ্ত্তি করে দেওয়া হোতো । পাঠশালায় তখনও ছাপা বই বিশেষ প্ৰবেশাধিকার পায়। নাই । ছেলেরা তালপাতায় প্ৰথম লেখা আরম্ভ করত । গুরুমশাই বা পাঠশালার সর্দার ছেলেরা অর্থাৎ বড় ছেলেরা তালপাতায় ক, খ, গ, ঘ লিখে দিত, আর প্রথম শিক্ষার্থী তাতেই দাগ বুলাতো । তালপাতায় হাত ঠিক হ’লে ছেলেকে কলপাতায় প্রোমোশন দেওয়া হোতে । তার পর যখন হাতের লেখা গুরুমশাইয়ের মনের মতন হোতো, তখন ছাত্র কাগজ হাতে করতে পেতো । আর এই কাগুজে ছাত্ৰ হ’তে সাধারণতঃ ছাত্রের চার-পাঁচ বছর লাগত ; কারণ হাতের লেখার উপর সেকালের গুরুমশাইদের বিশেষ নজর ছিল ! তাই তখনকার ছেলেদের হস্তাক্ষর অতি সুন্দর হোতো । এখন সে দিকে নজর নেই বললেই হয়। আমরা এখন আমাদের স্কুল কলেজের ছেলেদের মধ্যে শতকরা পাচজনের হস্তাক্ষরও সুন্দর দেখতে পাইনে । এই ত গেল লেখার কথা । এখন পড়ার কথা বলি । পূর্বেই বলেছি, আমরা যখন প্ৰথম পাঠশালায় ভৰ্ত্তি হয়েছিলাম, তখন স্কুলে বর্ণপরিচয়, শিশুশিক্ষা প্ৰভৃতির প্রচলন s