পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠশালার ছাত্র ও তাহদের শিক্ষা-প্ৰণালী মোটা জেলার ধুতি ; নাকে, মুখে, গালে, হাতে, পায়ে, বিশেষতঃ পায়ের দুই হাঁটুতে বহুদিনের সঞ্চিত চিত্রবিচিত্ৰ কালির দাগ । এখনকার মত বিবিধ নামের সাবান তখন ছিল না ; অনেকে, হয় ত, সাবান কি পদার্থ, তাতা ও জানিত না । খৈল ও ডাল-বঁটা তখন সাবানের কাজ করিত । মাঝে মাঝে পিসিমা মাসিমাদের এ-সব দ্রব্যের দ্বারা প্ৰক্ষালনে মলিনতা কিছু কম পড়িত মাত্ৰ । পাঠশালায় প্রত্যেক ছাত্রের বসিবার স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র আসন থাকিত । তাস্কার অধিকাংশই নলের চাটাই, পাটীর ছিন্ন খণ্ড, বুনানো ছোট হোগলা, এবং ছালার চাট । প্রথম-শিক্ষার্থীরা তালপত্রে লিখিত । পাঠশালার ছুটী হইলে তালপাতার গড় আসনে মুড়িয়া ছাত্রেরা বাড়ীতে লইয়া যাইত এবং পাঠশালায় আসিবার সময় বগলে করিয়া লইয়া আসিত । তালপাতা লেখা শেষ হইলে অপেক্ষাকৃত বড় ছেলেরা কলার পাতে লিখিত । কলার পাতা শেষ হইলে বয়স্ক ও শ্রেষ্ঠ ছাত্রেরা কাগজে লিখিত । ইহাদের কাগজ-কলম একটা মোটা পুরাণ কাপড়ের খণ্ডে মুড়িয়া বাধা হইত। ইহার ডাক-নাম ছিল বস্তানি বা দপ্তর । বড় ছাত্রদের এই দপ্তরে দুই একখানি মুদ্রিত পুস্তকও দৃষ্ট না হইত এমন নহে। সেই সকল డా