পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের কথা মহাৰ্য পুস্তকের নাম শিশুবোধক, গঙ্গাভক্তি-তরঙ্গিণী <zङ्डि । অধিকাংশ ছাত্ৰই খাগের কলমে লিখিত । লোহার কিম্বা পিতলের নিব ও কাঠের হ্যাণ্ডেল তখন কেহ দেখেও নাই । আর এখনকার ফাউণ্টেন পেন কল্পনারও অতীত ছিল । পেনের কলম কচিত কাহারো কাহারে কাছে দৃষ্ট হইত। কালি থাকিত মাটীর কিম্বা কড়ির দোয়াতে ৷ কড়ির দোয়াত বলা হইত চিনা মাটির দোয়াতকে । ছাত্রেরা নিজ হস্তে কালি প্ৰস্তুত করিত । তাহার উপকরণ ছিল নারিকেলের ছোবড়া, বঁাশের খোসা, ভাতের হাড়ির তলা হইতে ঝিনুকে চাচা কালি, লৌহ, হরিতকী, ও পোড়া চাউলের জল, এই সকল । তন্মধ্যে লৌহ ও পোড়া চাউলের জলের কালিই উৎকৃষ্ট হইত। বঁশের খোসা ও নারিকেলের ছোবড়া পোড়াইয়া কালি নিম্ন অঙ্গের হইত। ভাতের হাড়ির কালি পোষণ করিলে তাহা মধ্যম রকমের হইত । ছাত্রেরা কালি প্ৰস্তুত করিবার সময় এই গাথা উচ্চারণ কৱিত “কালি ঘুটি কালি ঘুটি সরস্বতীর বরে, যার দোয়াতের ঘন কালি মোর দোয়াতে পড়ে ।” এই সময়ে দেশে ও গ্রামে উৎকৃষ্ট কাগজের প্রচলন হয়। తి