পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের কথা দিনে খেজুর রস, কখন বলিয়া, কখন না বলিয়া, নানা ভাবে শিয়ালীর (যারা খেজুর গাছ কাটে ) অগোচরে পান করিত । “না বলিয়া পরের দ্রব্য গ্ৰহণ করিলে চুরি করা হয়।” তখন এই নীতিবাক্য কেহ কখনো উচ্চারণ করিয়াছে বলিয়া মনে পড়ে না । ভাদ্র মাসে নষ্টচন্দ্রের রাত্ৰিতে ফল প্ৰভৃতি চুরি করিলে কোন অপরাধ হয় না, এই বাক্যের সারবত্তা উপলব্ধি করিয়া ছাত্রেরা এবং গ্রামের যুবকেরা একযোগে প্ৰতিবেশী গৃহস্থের বাড়ী হইতে, শশা, কলা, তাল, ও নারিকেল প্রভৃতি অবাধে মহোৎসাতে আত্মসাৎ করিয়া উদরাসাৎ করিয়াছে ; তাহাতে গ্রামের ভিতরে কিন্তু কোন ফৌজদারী হয় নাই ; নষ্টচন্দ্রের রাত্ৰিতে ছেলেরা এমন করিয়াই থাকে বলিয়া গৃহস্থ এ সকল অত্যাচার উপেক্ষা করিতেন । এখন যেমন যুবকগণের এম, এ, বি, এর উপাধি জামাতা-নির্বাচনের প্রধান সার্টিফিকেট ; কুলশীল, ছেলের স্বভাব-চরিত্র পরের কথা,-বোধ হয় বিশেষ প্রয়োজনীয় কথাও নয়, সেকালে কিন্তু এমন ছিল না । তখন ছেলের বংশ, তার স্বাস্থ্য, তার স্বভাব-চরিত্রের সন্ধান আগে লওয়া হইত। বিদ্যার পরিচয় লওয়ার সময় দেখা হইত। to S