পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠশালার ছাত্র ও তাহদের শিক্ষণ-প্ৰণালী নাই । দেশীয় জেলার এক প্রকার মোটা কাগজ প্ৰস্তুত কিরিত । তাহার দিস্তা ছিল তিন চার পয়সা । শ্ৰীরামপুবী এবং অন্য প্রকারের সাদা কাগজ আল্প-বিস্তর পাওয়া যাইত । এই কাগজে লিখিতে আরম্ভ করিলে ছাত্রেরা বিশেষ গৌরবান্বিত বোধ করিত । এখন যেমন রবিবারে বিদ্যালয়ের পাঠ বন্ধ থাকে, তখন সে নিয়ম ছিল না। তখন চতুৰ্দশী, অমাবস্যা, প্ৰতিপদ এবং পূর্ণিমা। এই চারিটি তিথিতে পাঠশালার কাৰ্য্য বন্ধ থাকিত । এই ছুটির সময়ে ছাত্রেরা লিখিবার কালি প্ৰস্তুত করিত, বন-জঙ্গল হইতে খাগের কলম সংগ্ৰহ করিয়া আনিত, এবং দশ-পনের দিনের উপযোগী কলার পাত কাটিয়া রাখিত । এই ছুটী অসিলে ছাত্রদের আনন্দের সীমা থাকিত না । তাহারা গরমের দিনে দলে দলে মিলিত হইয়া পুকুরে, গ্রামের অপ্ৰশস্ত খালে, ঘণ্টার উপরে ঘণ্টা সাতার কাটিয়া, ডুবাইয়া এক একজন আরক্ত-নয়ন হইয়া উঠিত । পুনরায় আহারান্তে বিকাল-বেলা আম, জাম, গাব, বেতফল প্রভূতি সেকালের গ্ৰাম্য। ফলের অন্বেষণে সকলে জঙ্গলে এবং বাগানে পরিভ্রমণ করিত এবং গাছে চড়িয়া ফলাহারে উদরপূর্ণ করিয়া সন্ধ্যা হইলে বাড়ী ফিরিত। শীতের తి