সেকালের কথা একত্রে একই অক্ষরের উপরে নিপতিত হইত। সংযুক্ত বর্ণগুলির উচ্চাবণে যেমন, খ, জ্ঞখ, সঙ্গ, জঘ, স্প, স্মৃফ, স্ব, স্ত প্ৰভৃতি বর্ণের উচ্চারণে যেন একটী মধুর সঙ্গীত-ঝঙ্কার छेठेिऊ । পাঠশালার ছুটী হইলে দুইবার সমস্ত ছাত্র একত্ৰ হইয়া নামত পড়িত । দুই তিনজন উপর শ্রেণীর ছাত্র কোন এক উচ্চ স্থানে দণ্ডায়মান হইয়া সুর-সহযোগে উচ্চৈঃস্বরে বলিত— যেমন এক একে এক, দুই হ্র-গুণে ৪, তিনি দু-গুণে ৬, ৪ জু-গুণে ৮ ইত্যাদি ; আর ৫০ কি ততোধিক ছাত্ৰ সারি সারি দাড়াইয়া এক-সুরে তাহার প্রতিধ্বনি করিত। এই মধুর ধ্বনিতে গ্রাম মুখর হইয়া উঠিত। কেবল তাহাও নহে ; ই স্থা দ্বারা পাঠশালার ছুটী বিজ্ঞাপিত হইত। এই নামতাকে ডাকনামতা বলিত । ইহা দ্বারা অতি সহজে ২০ ০ শত ঘরের নামত অতি সহজে অভ্যস্ত হইত । বৰ্ত্তমান সময়ে দশ ঘরের নামত অমনোযোগী বালককে শিক্ষা দেওয়া কঠিন হইয়া পড়িতেছে । আজকাল অনেক ছাত্র ১।২।১৪ ঘরের নামতার কাৰ্য্য গুণনের সাহায্যে সম্পন্ন করিতে বাধ্য হন । দোকানের হিসাবে একমণ, পাচসের আড়াই ছটাক অঙ্ক লিখিতে হইলে অনেক কৃতবিদ্য উপাধি