পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠশালার ছাত্র ও তাহদের শিক্ষা-প্ৰণালী শিক্ষা দেওয়া হইত। ইহাই পাঠশালার শেষ শিক্ষা বলিয়া গণ্য হইত। বাস্তবিক পক্ষে এই শিক্ষার বলে। এবং নিজ নিজ বুদ্ধিমত্তা ও প্ৰতিভার প্রভাবে এই পাঠশালার অনেক ছাত্র বড় বড় জমিদার-সরকারে তখন নায়েব, আমিন, এমন কি উচ্চ ম্যানাজারের পদ পৰ্য্যন্ত লাভ করিয়াছেন । পাঠশালা সকাল বিকাল হুইবেল বসিত । ছাত্ৰগণ পড়িয়া পড়িয়া লিখিত । উপর শ্রেণীর ছাত্ৰগণ নিম্নস্থ ছাত্ৰগণকে তাহদের লিখিত বিষয়গুলি পড়াইয়া দিত। ইহাতে পাঠশালা সৰ্ব্বদাই বালকগণের শব্দে মুখর হইত। গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করিলেই অদূরে থাকিয়া বুঝিতে পারা যাইত গ্রামে একটী পাঠশালা আছে । পাঠশালার উচ্চ শ্রেণীর ছাত্ৰগণ গুরুমহাশয়ের সহকারী শিক্ষকের কাৰ্য্য করিতেন। বলিলেও আতু্যক্তি হয় না । তালপাতা ও কলার পাতায় যাহারা লিখিত, তাহারা উদ্ধতম ছাত্রের কাছে নিজ নিজ লিখিত বিষয় পড়িয়া লাইত । এই পঠন কাৰ্য্যটী বড় সুন্দর ঝঙ্কারে সম্পন্ন হইত। দুইটী ছাত্র দুইটী খাগের কলম হাতে করিয়া মাঝখানে পঠনীয় পাতা রাখিয়া সমস্বরে সুর করিয়া ফলা, বানান এবং কড়া, কাহন প্ৰভৃতি সমস্ত অধ্যয়ন করিত । দুই দিক হইতে তালে তালে দুইটা কলম }