পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের কথা করিতে চাই । তত বড় ভোজের ব্যাপারে সন্দেশ, বাসগোল্লার নাম ও নাই । এমন কি সে সকল প্ৰস্তুত করিবার উপকরণের ও উল্লেখ নাই ; উল্লেখ আছে শুধু সাত শত নারিকেল, পাচ টাকার গুড় এবং তিন টাকাব চিনির ; আর অাছে পাচ মণি দুগ্ধের । আমার মনে হয়, তখন হয় তৃত ছানার সন্দেশের তেমন প্ৰচলন ছিল না, নারিকেল ও চিনি দিয়া নারিকেল সন্দেশাই উক্ত ভোজে ব্যবহৃত হইয়াছিল, এবং এত বেশী যখন নাবিকেল, গুড় ও চিনির আয়োজন, তখন নানাবিধ পিষ্টক যে প্ৰস্তুত হইয়াছিল, সে বিষয়ে ও সন্দেহ নাই । তবে অ্যাব একটি কথা আছে, পিষ্টক এবং পৰিমানে কি পাচ মণি দুগ্ধ খবচ হইতে পারে ? তবে, সে সময় দেশে ম্যালেরিয়া ছিল না। এবং সুভোক্ত অনেক ছিলেন, সেই যা কথা । আমরাই ছেলেবেলায় দেখিয়াছি। এক-একজন ভোক্তা ভোজনশেষে বাহাদুরী দেখাইবার জন্য আড়াই সের তিন সেব পরমান্ন অনায়াসে আহার করিতেন । এ ব্যাপার ও আমার জন্মের পনির ষোল বৎসর পূৰ্ব্বে অনুষ্ঠিত হইয়াছিল । গুটি কয়েক হিসাব স্পষ্টই পাওয়া যাইতেছে । আশি বৎসর পূৰ্ব্বে ভদ্রলোকের ভোজনের উপযুক্ত శ్రీ