পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালেব কথা হয়ে গেলাম ;-প্ৰকৃতির এই দৃশ্য আমার কাছে একবারে নূতন—একেবাবে অপুৰ্ব্ব-দৃষ্ট ! কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য, এই প্রখর বৌদ্রের তাপে কিছুমাত্ৰ ভ্ৰক্ষেপ না ক’বে বেহারিাবা তাদের সেই শব্দ-মাত্ৰে পৰ্য্যবসিত হুঙ্কার করতে করতে একই ভাবে চলছে-মাঝে মাঝে কেবল কঁাধি বদলাবাৰ জন্য এক একবার থামছে । আমি এদেব এই কষ্টসহিষ্ণুতা দেখে অবাক হোয়ে গেলাম । এই ভাবে বোধ হয় মাইল দুই-তিন গিয়ে তাবা পথের পাশে একটা জায়গায় পালকী নামালে। আমি রোদের জ্বালায় কিছুক্ষণ আগে থেকে চোক বুজে ছিলাম। হঠাৎ পালকী ভূমি স্পর্শ কাবায় আমি দেখলাম একটা বটগাছের ছায়ায় পালকী নেমেছে। তাব পাবেই দেখি বেহাবার সেই বটগাছেৰ গোড়ায় গিয়ে নত-মস্তকে প্ৰণাম করল । আমি আর তখন পালকীর মধ্যে ব’সে থাকতে পারলাম না ; পালকী থেকে নেমে একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি বটগাছের গোড়ায় ছোট একখানি কুটীরআর তার মধ্যে কয়েকটি জলের জালা ও কলসী । এক জন লোকও সেখানে ব’সে আছে। বুঝতে পারলাম যে, কোন সদাশয় মহাত্মা এই প্ৰান্তরের মধ্যে, এই একটীমাত্র বটগাছের ছায়ায় পথিকদের তৃষ্ণা দূর করবার জন্য ዓቅ