পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उठiउiद्ध भांठेंद्र भió দেড় ক্রোশ, কি তার একটু বেশী অতিক্রম করবার পর এমন একটা মাঠে গিয়ে পড়লাম, যাকে মাঠ বললে “মাঠে’র মৰ্য্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়,- সে মাঠ নয়-একটা প্ৰান্তর। এমন বিশাল প্ৰান্তর, আমি তো অনেক স্থান ঘুরেছি, আর কোথাও দেখেছি ব'লে মনে, হয় না । পিছনের দিক ছাড়া সম্মুখে, বায়ে, ডাইনে, যে দিকে চাই, সেই দিকই যেন ধু-ধু করছে ; দূরে -অতি দূরে দৃষ্টিরেখাব সীমান্তে কালে মত কি যেন লি-লি করছে ; সে গ্রাম কি মরীচিকা, তাও ঠাহর করা যায় না । আমার মনে হোলো এই প্ৰান্তরের পরিমাণ—ফল অন্ততঃ দশ বর্গ মাইল। আর এই প্ৰান্তর একেবারে শূন্য । এদেশের জম’তে একটি মাত্র দ্রব্যের চাব হয়- সে ধান । ধান কাটা হয়ে গেলেই শূন্য মাঠ হা, হা করতে থাকে ; পর ৎসর জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে আবার ধানের চাষ আরম্ভ হয় । তাই তখন মাঠের শোভা আতি ভয়ানক । আমি পালাকীর মধ্য থেকে সািভয়ে চেয়ে দেখলাম, এত বড় প্ৰান্তরের মধ্যে একটা, বড় গাছ নেই, যার তলায় একটু আশ্রয় পাওয়া যেতে পারে । একে এই জনমানবহীন প্ৰান্তর, তাতে বৈশাখের মধ্যাহ্নের অনলবর্ষী সূৰ্য্যকিরণ-আমি পালাকীর মধ্যে বসে’ মধ্যাহ্নের এই ভীষণ মূৰ্ত্তি দেখে একবারে স্তম্ভিত לף