পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাতারি-মারীর মাঠ তার মাথাটা তার স্বোয়ামীর বুকের উপর কুকে পড়ল । “যারা এসেছিল, তাবা কি হ’ল, কি হ’ল” ব’লে তার গায়ে ঠেলা দিয়ে দেখে সতীলক্ষ্মী স্বোয়ামীর সঙ্গে চ’লে গিয়েছে । বাবুজি, আপনি যেখানে বসে আছেন, আমার বাবার মুখে শুনেছি,ঠিক ঐখেনেই তারা পরাণ দিয়েছিল। তাই তার পাব থেকে এই মাঠের নাম হ’য়েছে ‘ভাতারি-মারীর মাঠ’ । আর বাবুজি, এই যে বটগাছ দেখছেন, আমাদের মনিব তা বাকবাবুর বাবা গঙ্গাধর বাবু এই বটগাছ পিতিষ্ঠে ক’রে দিয়ে গেছেন । তিনি এখানে একটা পুকুর দিতে চাইছিলেন ; কিন্তু বটগাছ দেবতা কি না ; তিনি বেতেব বেলায় গঙ্গাধর বাবুকে স্বপন দিয়ে ব’লে গেলেন, তুই এখানে পুকুর কাটাসনি, জলছ স্তর দে। যদিন এখেনে জলছত্তর রাখবি, তদিন লক্ষ্মী তোর ঘবে অচলা হবে । তারই জন্যই তো বাবুজি, গঙ্গাধব বাবু সাগগে গেলে তার পুত্তর আমাদের মনিব এই জলছােত্তর চালাচ্ছেন। এলাইপুবে মহেশেবে বাড়ীর উপব পুকুর কাটিয়ে দিয়ে সেই জল আনিয়ে এই জলছািত্তরে বোজ রোজ বারি-মাস পথ-চলতি লোকের জল খাওয়ানোর ব্যেবস্থা করেছেন । মহেশ যে জল জল করেই এখানে পরাণ দিয়েছিল }