বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>> o কালিদাস উপন্যাস । বিরহ, জিতেন্দ্রিয় ব্যক্তিকে কখন পরিতান্ত্রি করিতে পারে না, সখি প্রভাতে গাঢ় তুষারাচ্ছন্ন নীহার : চন্দ্রের ন্যায় তোমার বদনমণ্ডল দুঃখ সমাকুল দর্শন করিয়া আমরা অতিশয় ঃখিত হইতেছি অতএব তুমি দুঃখ পরিভাগ করিয়া আমাদের ক্লেশ বিমোচন কর । অনন্তর, স্বামী-কাতর হইয়া মুক্তাফলের ন্যায় অশ্রুবিন্দু বিলজন পূৰ্ব্বক রোরুদ্যমান। রাজকন্যার পাশ্ববৰ্ত্তিনী সখিদিগের এই প্রকার শোক প্রশমন বাক্যে বিষাদশূন্য হইয়া হিমাবসানে পদ্মিনীর ন্যায় সমধিক সৌন্দর্য ধারণপূর্বক শোভা পাইতে লাগিলেন । এদিকে বিবাহের রাত্রি আহারাদি করিয়া শয়ন করিতে প্রায় রাত্রি শেষ হইয়াছিল, অনেক রাত্রিতে শয়ন করিলে প্রায় নিদ্রাকর্ষণ শীঘ্র হইয়া থাকে । কেবল মাত্র চক্ষের পাত। বুজে এসেছে এমন সময় রাজবাটীর মধ্যে মহা গোলযোগ হুলু স্কুলু ব্যাপার কর্ণে প্রবেশ হইল। বিবেচনা হয় যেন ভিতর বাড়িতে কোন বিপদ হইয়াছে, রাজকন্যার মহল আalাহিদা । চাকর দিগেয় কোন সাড়া শবদ নাই পরে এই ভাবে ক্ষণকাল অন্তঃকরণকে স্থিরভাবে রাখিবার পর ক্রমে নিদ্রাকৰ্ষণ হলো, আবার কিঞ্চিৎ বিলম্বে যেন চীৎকণ ধ্বনি হইতেছে শুনিয়া নিদ্র। ভাঙ্গিয়া গেল, তখনই একজন চাকরাণী আসিয়া কহিল যে মহারাজ, রাজবালা সত্যবতীর সহিত বরপাত্র বিবাহ করিয়া পলাইয়। গিয়াছে রাজকন্য। র্ত হাকে তাড়া ইয়া দিয়াছেন এবং পাত্রও কাদিতে কাদিতে কোথায় চলিয়া গিয়া ছেন । তাহার কোন ঠিকানা নাই। কিন্তু এখন র্যজকন্যা মুছাপন্ন হইয়া ভুতলে পড়িয়া রহিয়।ছেন তাহার চৈতন্য নাই । তখন রাজা ধিম্ময় বিশিষ্ট হয়ে পড়লেন,এবং একজন চাকরকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন যে রাত্রি কত আছে? অার তামাক দিতে