| হরিভক্তিচন্দ্রিকা - هو ধারা, বঞ্জ তীয় বিষম বিরহ । কিছুতেই কদাচন; নহে সেই নিবারণ, ক্রমেতেই হতেছে দুঃসহ । যতক্ষণ চলে রথ, চাহিয়া রহিল পথ, মন দৃষ্টে চাতকী যেমন। এমনি চাহেন রাই, নয়নে নিমিষ নাই, যেন পট পুতলি দর্শন । রথ হৈল অদর্শন, অন্ধকরে বৃন্দাবন, দেখে গোপী চৌদিক চাহিয়া । দিবস রজনী প্রায়, কিছু না দেখিতে পায়, চমকিছে থাকিয়া২। সকল ভবিয়া তুচ্ছ, অমনি যাইয়া মুছে, কমলিনী পতিতা ধরায় । fক হল কি হল ধ্বনি, করিয়া সকল ধনী, ধরাধরি করয়ে রাধায়। গুচিল শামের সঙ্গ, ধুলায় ধূসর অঙ্গ, ছঃখের তরঙ্গ বয়ে যায়। ধূলার উপরে পত্ত্বি, স্বর্ণলতা গড়াগড়ি, সখীগণে করে হায়২ । সকলে বিষম দুঃখী, রঙ্গদেবী ইন্দুমুখী, ললিতা বিসখ! চন্দ্রমালা । বৃন্দ আদি সখী চর, রণধীয় ঘেরিয়া রয়, চাঁদ যেন নক্ষত্রের মশলা । এৰূপ রাধায় ঘেরে সহচরী সব। কেবলু করিছে ধ্বনি কেশবং ! ক্ষণেক বিলম্বে রাই পাইয় চেতন । কৃষ্ণ কই কৃষ্ণ কই বলিছে তখন । কান্দিয় চতুরা বৃন্দ কহিছে ত্বরায় । আর কেন কমলিনী পড়িয়া ধরায় । আসিবেন কৃষ্ণ তব রবেন কোথায় । এক্ষণে চলহ কুঞ্জে কি কর হেথায়। এতেক বলিয়া মিলি সব সহচরী। রাধায় লইয়া যায় ধরাধরি করি। কুঞ্জেতে প্রবেশি রাই কহেন তখন বলহ উপায় বৃন্দে কি করি এখন । হারাষ্টতু প্রাণ কৃষ্ণ পরম রসিক । সৰ্ব্ব রস পরিপূর্ণ সৰ্ব্ব গুণাধিক বিগ্ৰহ সচ্চিদানন্দ ঐশ্বর্যের সার । কৃষ্ণের মহিমা গুণ শুন আর বীর । ९४ - শ্লোক। * ঈশ্বরঃপরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দ বিগুহঃ। অনাদিরাদি গোবিন্দঃ সৰ্বকারণ কারণ^ । ,
