বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হরিভক্তিচন্দ্রিকা.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিভক্তিচন্দ্রিকা। ጭኜ এ ছেন কেশৰে অামি হারালেম সই। এ ছুঃখের কথা আর করেই বা কই । আমাদের কৃষ্ণপ্রেমে নাছি রসাভাস। তবে কেন ন হইল পুর্ণ অভিলাষ । এ বড় দুঃখের কথা কি বলিৰ বল । রোপণ করিনু বৃক্ষ ন হইল ফল । কহিতেই কথা আর মনে নাই। ঐ কৃষ্ণ ঐ কৃষ্ণ বলি উঠিলেন রাই । ত্বরীয় তরুর সঙ্গে অলিঙ্গন করে । এস এস বধু বলি অ"কামড়য়া ধরে। প্যর এইরূপ ভ্ৰমযুক্ত হইয়া ভ্রমণ করিতে করিতে কহিলেন হে বুন্দে আমার সে অাদর কি জন্মের মত নিঃশেষ হইয়া গেল ? হায় হtয় কি সৰ্ব্বনাশ ! তার অনিত্য জীবন-ধরণের আশা করি না । একদা কুঞ্চমাঝে হতভাগিণীর দুর্জয় মান উপস্থিত হইলে অবনতমুখী হইয়া মান ভরেই উন্মত্ত হইলাম । তাহাতে নৰনীলকান্তি তনু প্ৰাণবল্লভ স্বমানবিহীন হইয়াও মিনতি স্তুতি পুৰ্ব্বক মান নিবারণে অসমর্থ হইয়। দাসীর চরণতলে শিরঃ লুণ্ঠন করিয়া কহিয়াছিলেন প্রাণবল্লভে । অপরাধ ক্ষমা করিয়া প্রেমাধীন দাসের প্রতি কৃপাবলোকন কর । তথাপি মানভরে বাক্যদুৰ্ত্তি করিলাম না। হে বৃন্দে আমার সে আদর কি জন্মের মত নিঃশেষ হইয়া গেল ? হায় হায় কি সৰ্ব্বনাশ ! আর অনিত্য জীবন ধারণের আশা করি ন৷ i প্রাণবধু চরণতলে পতিত হইয়াও মান ভঞ্জন করিতে সমর্থ হইলেন না। কি করেন ; পরিশেষে বিনোদবংশী, ধড়া, চূড় ইত্যাদি মোহনীয় বেশ পরিত্যাগ করিয়া নিৰ্ম্মল শশী-নিভী নিন্দিত মুখমণ্ডল, নবজলধর বিনিন্দিত নীলোজ ল কলেবরং পদ্মনাল নিন্দিত বাহুদ্বয়, করীন্দ্র-কর নিন্দিত উরু যুগ ভৰ্ম্মে আচ্ছাদিত করিয়া নবীন সন্ন্যাসীর বেশে মঞ্জকুঞ্জে সমাগত, হইয়া কহিলেন মানময়ী রাধে মানভিক্ষাং দেহি । হে বৃন্দে !