পাতা:হরিভক্তিচন্দ্রিকা.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিভক্তিচন্দ্রিক। 44 অনিয়ন করিয়৷ সেইৰূপ আহলাদিত হইলেন। ভাবিলেন এত দিনে নগর পবিত্র, হৃদয় কৃতাৰ্থ, এই সমৃদ্ধিশালিনী মধুৱা নগরীতে সারার্থ সঞ্চিত হইল, কেন না দুজ্জয় প্রতাপ পাপাৰতার কংসরাজের রাজছত্ৰ ছত্রহীন হইবার এই স্বত্রপাত হুইল । অক্ৰু মনে মনে . এই সকল ভাবিতে ভাৰ্বিতে মধুৰ্বাধিপের সমীপে সমুপস্থিত হইয়া কৃষ্ণাগমন বিজ্ঞাপন-কুরিয়। স্বভবনে গমন করিলেন । বিষয় বাসনাশূন্য ও কঠোর তপস্যারত অজুর এইৰূপে গমন করিলে পর ব্রজশিশুগণ সঙ্গে করিয়া মুহ:বীর্যসম্পন্ন হলদেব ও জগতের চিত্তরঞ্জনকারী চিন্তামণি কৃষ্ণ, মধুৱার রাজধানীর চতুষ্পাশে প্রভূত ধনধান্য সম্পন্ন প্রজাগণের বাসশ্রেণী সম্পূৰ্ণৰূপে শোভাসম্পাদন কয়িতেছে। স্থানে স্থানে রমণীয় প্রমোদকানন এবং তন্মধ্যে নিৰ্ম্মল জলসম্পূর্ণ ক্রীড়া বাপি সকল বিমল এদুটত কমলকুলকে ধারণ করিয়া রহি য়াছে পাষাণময়ী রাজপন্থী সকল বিস্তীর্ণৰূপে নগরীকে স্কু শোভিত করিতেছে। কোন স্থানে রমণীয় দীর্ঘসরোবরে সচ্ছ সলিলে হংস হংদী অাদি জলচর সস্তরণ ও অশেষ মনোহর বিহঙ্গকুল তীরতরতমালে অনবরত কোলাহল করিতেছে। নগরীর মধ্যস্থলে স্বর্ণময় রাজভবনের জ্যোতির সহিত তুলনা করিলে প্রদীপ্ত স্বর্ঘ্যের কিরণও মলিন হয় । নীলকান্ত চন্দ্ৰকান্ত আদি মণি নিৰ্ম্মিত রাজদ্বারে প্রলয়কালের কৃতাম্বের ন্যায় দ্বৌবারিক সকল দণ্ডায়মান হইয়। রাজানুজ্ঞী প্রতিপালন করিতেছে । প্রাসাদের চতুষ্পার্শে মহোজ্জল মনোহারিণী রাজপতাকা সকল উড়ডীন হইতেছে। অার এক অত্যাশ্চর্য্য দর্শন ও শ্রবণ করিলেন দুৰ্ব্বত্ত কংসাসুরের শাসন ভয়ে, রাজ দ্বারে দণ্ডায়মান হইয়। দ্বিজগণে এই স্তুতি পাঠ করিতেছে হুে’