3 সপ্তম অধ্যায় । রাজনৃ! যদি পৃথিবীর এই অস্থায়ী রাজ্য সম্পদের জন্য তুমি কৃতজ্ঞ স্থg, অবিনশ্বর রাজ্যৈশ্বর্ষ্যের অধিকারী হইতে পরিবে। যদি, রাজত্ব পাৰ্ছয়। অত্যাচার কর, সেই রাজত্ব পদ হরাইয়া ভিক্ষুক হুইবে । যে রাজ্যে দুৰ্ব্বল প্রজা দুঃখ ভারাক্রান্ত, সে রাজ্যের রাজার আস্থার নিদ্রা সুখ ভোগে পাপ । প্রজাকে একটী সর্ষপ কণিকা তুল্যও উৎপীড়ন করিও না। রাজা রক্ষক, প্রজাগণ । মেষ পাল স্বরূপ । যদি রাজা হইতে অবিচার ও শত্রুত হয়, তবে তিনি রক্ষক নন, শাৰ্দ্ধ ল। ২৬ ৷ এ কথা বলিও ন্য যে রাজ্যাধিপত্য অপেক্ষ অণর শ্রেষ্ঠ পদ নাই * অামি বলি, এক জন ঋষির বৈরাগ্য রাজ্যে যেরূপ মুখ আছে, তাহ সম্রাটের রাজ্যে নাই। “ লঘুভার ব্যক্তি সহজে সংসার সমুত্তীর্ণ হয় ” ধৰ্ম্মপুস্তকের এই সার কথা, জ্ঞানী লোকেরা ইছ বিশ্বাস করেন। দরিদ্র থগুৈক ৰুটিকার জন্য চিন্তিত থাকে, রাজ একটী রাজ্য গ্রাস করিবার জন্য ব্যস্ত থাকেন। যদি দরিদ্র সায়ংকালে এক খণ্ড ৰুটিক প্রাপ্ত হয়, তবে সে শ্যাম রাজ্যাধীশ্বরের ন্যায় সুখে নিশ যাপন করে । যতদিন জীবিত থাকা, তত দিনই সংসারে সুখ দুঃখ ভোগ, মৃত্যু হইলে আর এই পার্থিব সুখ দুঃখের কোন অধিকার থাকে না । তখন এই মস্তকের উপর কি রাজমুকুট বা কর ভর অর্পণ কর, উভয়ই সমান । মৃত্যু আক্রমণ করিলে একজন দেশাধিপতি এবং এক কারাগারবাসী উভয়ই তুল্য f কিছুতেই প্রভেদ করা যায় না। ২৭ mos-os হিতকারী লোকের অহিত হয় ন}, যিনি কল্যাণ সাধন করেন, তিনি অকল্যাণ লাভ করেন না । অস্থিতকারীরই পরিণামে অহিত হয় । বিশ্চিক কাহাকেও দংশন করিতে আসিয়া অক্ষত শরীরে পুনৰ্ব্বার স্বীয় গৰ্ত্তে প্রবেশ করিতে পারে না'। রাজনৃ ! তোমার অন্তরে হিতৈষণ না থাকিলে তোমার হৃদয়ে আর কঠিন প্রস্তরে বিশেষ প্রভেদ নাই। ভুল বললাম, যেহেতু প্রস্তর ও লৌছেতেও ছিত সংসাধিত হয়, তোমাতে তাছা হয় না । পাষাণ যাছ অপেক্ষ শ্ৰেষ্ঠ, এরূপ পাপশয় ব্যক্তির মৃত্যু প্রার্থনীয় ।
