হিতোপাখ্যান মালা । ه هد সকল মনুষ্য বন্য পশু অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ নয়। দুষ্ট মনুষ্য অপেক্ষ পশু শ্রেষ্ঠ, সহৃদয় ব্যক্তিই পশু জাতি অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ বটেন। কিন্তু সে সকল লোক নয়, যাহারা মানব মণ্ডলীর প্রতি ছিংস্ৰ শ্বাপদের ন্যায় আচরণ করে। যখন মনুষ্য আছার নিদ্রা ব্যতীত কিছুই জানে না, তখনও সে পশু অপেক্ষ কি অধিক প্রাধান্য রাখে? যে ব্যক্তি মহত্ত্বের বীজ বপন করে নাই, মহত্ত্বের শুভ ফল ভোগ করিতে সে সক্ষম হয় না। আমার জীবনে আমি কখন এ কথা শ্রবণ করি নাই যে হুষ্ট লোকের ইষ্ট সাধিত হইয়াছে । ২৮ সাবধান । আলস্য নিদ্রা ভোগ করিও না, রাজ্যাধিপুতির সুখ নিদ্রণয় পাপ। দুৰ্ব্বলদিগের দুঃখে সহানুভূতি কর । দৈব পরাক্রমকে ভয় করিয়া চল। দুৰ্ব্বলের সঙ্গে মল্প ক্রিয়ায় প্রৱত্ত হইও না, যদি সেই হীনবল লোক দ্বার। তুমি মলে পরাস্ত হও, অতি লজ্জার কারণ হইবে । দণ্ডায়মান ব্যক্তিকে পতিত লোকে আক্রমণ করিয়া পাতিত করিলে অত্যন্ত য়ণর বিষয় হয় । নিৰ্ম্মল হৃদয় সদাশয় ভাগ্যবান লোক বিচক্ষণতার সহিত রাজ মুকুকট ও সিংহাসন রক্ষণ করেন। উপদেশ স্বেচ্ছাচারী লোকের নিকট তীক্ষ বোধ হয়, কিন্তু তিক্ত ঔষধে রোগের উপকার হইয়া থাকে | ২৯ এরণক দেশের এক রাজার প্রাসাদ নিম্নে দণ্ডায়মান হইয়। কোন मीन ইন অনাথ এরূপ বলিয়াছিল “ রাজনৃ! তুমিও এক দ্বারের ভিক্ষুক, অতএৰ তোমার দ্বারে সমাগত উপায় হন অনাথ দিগকে নিরাশ করিও না । দুঃখীর হৃদয়ের দুঃখ বন্ধন মোচন কর, তাহ হইলে কখন তোমার মনে দুঃখ হইবে না। অত্যাচার প্রাপ্ত বিচারার্থীর মনের উদ্বেগ রাজাকে 孙西ভ্ৰষ্ট করে। যদি তুমি রাজ ভবনে অৰ্দ্ধ দিব। মুখ নিদ্রায় যাপন কর, তাছ হইলে বিচারার্থী বাহিরে আতপ তাপে দগ্ধ হইতে থাকিবে। যে ব্যক্তি রাজার নিকটে বিচার লাভ করিতে পারে না, বরং অবিচার লাভ করে, ঈশ্বর তাছার বিচার করিয়া থাকেন। ৩০ അബ്-ബ
